প্রায় ১৫ ঘন্টা পর শনিবার রাত ৭টা ৪০ মিনিটের সময় সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ভানুগাছ রেল স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ। তিনি জানান, সিলেটমুখী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসেছে।
উল্লেখ্য যে, আজ শনিবার ২০মে ভোরে চট্টগ্রাম থেকে আসা সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস রেলগাড়ীর ইঞ্জিনসহ ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যাবার ফলে রেলগাড়ীটি দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে সিলেটের সাথে গোটা দেশের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে ৪টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীরা ফেরত পাবেন টাকা বলে জানা গেছে।
আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল রানা বলেন, বনের ভেতর ঝড়ে একটি(চাপরাশী) ১০ফুট প্রস্থ ও ৪৫ ফুট লম্বা গাছটি রেললাইনের ওপর পড়ে ছিল। পড়ে যাওয়া সেই গাছটির সাথে ট্রেনটির ধাক্কা লাগলে এর ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ট্রেনের নিরাপত্তায় থাকা রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ফখরুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ করে শব্দ করে ট্রেনটি ঝাকুনি খায়। তখন আমার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের দিকে এগিয়ে গেলে দেখতে পাই ইঞ্জিনসহ ৩টি বগি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে। এসময় আমরা দ্রুত গতিতে দুর্ঘটনাকবলীত থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করি। তিনি আরও বলেন যে, যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় দুর্ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনায় রেল বিভাগের পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ে বিভাগের পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল কবিরকে আহবায়ক করে গঠিত এ কমিটিতে বিভাগীয় যান্ত্রীক প্রকৌশলী(লোক), বিভাগীয় যান্ত্রীক প্রকৌশলী(ক্যারেজ) ও বিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা-২) ও বিভাগীয় প্রকৌশলী(সংকেত ও টেলিযোগাযোগ) সদস্য করা হয়েছে। তারা শনিবার দুপুরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে ঘটনাস্থলে রেলওয়ে পুলিশ, কমলগঞ্জ থানাপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে। কুলাউড়া ও আখাউড়া থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।