১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৮ মার্চ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে পরিকল্পিত প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলে একজন পাক সেনাবাহিনীর মেজরসহ ৯জন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছিল স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। দীর্ঘ ৫২ বছর বছর শমশেরনগরে এক অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ২৮ মার্চ প্রতিরোধ অভিযানের স্মৃতি চারণ করলেন মুক্তিযোদ্ধারা। সুজা মেমোরিয়াল কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শাহজাহান মানিকের স ালনায় শমশেরনগর সাহিত্যাঙ্গণের আয়োজনে গত সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।
স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ধলই সাব সেক্টরের সাব কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান। তিনি বয়োজেষ্ঠ্য ও অসুস্থ্য থাকায় আয়োজকরা তাঁর বাড়িতে এ অনুষ্ঠান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সে দিনের স্মৃতিচারণ করেন সাত মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব:) সাজ্জাদুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, নির্মল কুমার দাস, আব্দুল কুদ্দুছ, মান উল্যা, আকবর আলী ও আইয়ূব আলী। মুক্তিযোদ্ধারা বেশ আবেগ আপ্লুত হয়ে ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চের প্রতিরোধ ও ৯জন পাক সেনাকে হত্যার বিবরণ উপস্থিত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে এটিই ছিল পাক হানাদার বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা। যার ফলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক সেনারা শমশেরনগরে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতি চারণ করেন কমলগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পারভীন আক্তার লিলি, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সুজা মমোরিয়াল কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মানিক উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এম আউয়াল, মিজানুল হক স্বপন, সাহিত্যিক ও গীতিকার শওকত জুয়েল, লেখক এস,এম, মোহিন, সাকিল আহমেদ ও জামি আহমেদ।
অনুষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এসএন লাইভ ২৪ ডট কমে সরাসরি সম্প্রচার করলে দেশ বিদেশ থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাদের মতামতও ব্যক্ত করেন।