এই চা শ্রমিক আন্দোলনের একাংশের নেতা রাজঘাট ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ বলেন, চা শ্রমিকরা গত আগস্ট মাসে আন্দোলন করে তাঁদের মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ১৭০ টাকা আদায় করেছিলো৷ কিন্তু বর্তমান চা শ্রমিক ইউনিয়ন কমিটি মালিকপক্ষের সাথে চুক্তি করে সেই টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন না হওয়াও বর্তমান কমিটি স্বেচ্ছাচারীভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ অনির্বাচিতরা চা শ্রমিক ইউনিয়নের দায়িত্ব জোড় করে দখল নিয়ে রেখেছে। আমরা বার বার নির্বাচনের দাবী জানিয়ে আসছি কিন্তু নির্বাচন তারা দিচ্ছেন না। আমরা আজ(রোববার) নির্বাচনের দাবীতে চা শ্রমিক ইউনিয়ন ঘেরাও করে চরমপত্র দিয়েছি।
আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যদি তারা(বর্তমান কমিটি) দায়িত্ব না ছাড়ে, যদি হিসাব না দেয়, তাহলে আমরা সারা বাংলাদেশে চা বাগান বন্ধ রাখবো, আমাদের শ্রমিক চাঁদা বন্ধ থাকবে, আমরা এই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সবাই অবস্থান নিবো।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, আমরা আমাদের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনমাস আগে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের জন্য শ্রম অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি৷ কিন্তু সরকার থেকে আমাদের নির্বাচন আয়োজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করায় নির্বাচন হয়নি৷ এখন আমরা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সরকার এবং আমাদের যৌথ অর্থায়নে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছি৷
তিনি আরো বলেন, আমরা সকলেই আশা করছি, বকেয়া মজুরির বিষয়টি নিস্পত্তি হওয়ার পরপরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ নির্বাচনের ব্যাপারে জানতে সিলেট বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
|