মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। প্রায় ৪১কোটী ৪০লাখ টুকরা প্লাষ্টিকের দ্রব্য-সামগ্রী ভেসে গিয়ে ঠেকেছে ভারত মহা সাগরের কোকস দ্বীপের তীরে। তারমধ্যে প্রায় ৫লাখ জোড়া জুতা ও ৩লাখ ৭০হাজারটি দাঁতমাজার বুরুশ(ব্রাস) পাওয়া গেছে। যদিও কোকস দ্বীপ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত তা’হলেও আসলে দ্বীপটির মালিকানায় রয়েছে অষ্ট্রেলিয়া।
আন্তর্জাতিক মানের এক সংবাদ জরীপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। “সায়েন্টিফিক রিপোর্ট” নামের গবেষণা পত্রে এ গবেষণা দলিলটি প্রকাশিত হয়েছে অতি সম্প্রতি(বিগত ১৬ই মে বৃহষ্পতিবার)। গবেষণাপত্রের ওই নিবন্ধে দেখা গেছে ওই দ্বীপগুলোতে মাত্র ৫০০ মানুষের বসবাস কিন্তু দ্বীপগুলোর তীরভূমিতে গিয়ে জড়ো হয়েছে প্রায় ২৩৮টন মানুষের ফেলে দেয়া বর্জ্য প্লাষ্টিক।
অষ্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে প্রায় ১৭০৮ মাইল(২,৭৫০ কিমিঃ) দূরে রয়েছে ছোট বড় ২৭টি দ্বীপ। এই দ্বীপ গুলোতে মূলতঃ কোন মনুষ্য বসবাস নেই। শুধুমাত্র গবেষক ও ভ্রমণকারীরা এ দ্বীপগুলো গিয়ে দেখেন। কিছু কিছু ভ্রমণকারী না-কি দ্বীপগুলোকে “অষ্ট্রেলিয়ার আছোঁয়া স্বর্গরাজ্য” বলে ডাকেন?
দ্বীপগুলোর তীরভূমিতে জমা হওয়া এসব বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে বোতলের চিপি বা ঢিপা, ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার ‘স্ট্রো’, জুতা ও সেন্ডেল ইত্যাদি।
সাগরে মানববর্জ্য নিয়ে গবেষণাদলের একজন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “প্লাষ্টিক বর্জ্য এখন সাগরের সর্বত্র ব্যাপ্ত”। এসব ছোট ছোট দ্বীপাঞ্চলে গেলে এসব বর্জ্যের ভয়াবহতা মানবচক্ষে অবলোকন করা যায়। দেখে বুঝা যায় কি পরিমান বর্জ্য ভেসে ভেসে ঘুরছে সাগরে।
প্লাষ্টিক বর্জ্যের এ দূষণ সাগর ও বণ্যপ্রানীকূলের জন্য ভয়াবহ এক হুমকি। এতোসব কিছু জেনেও আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন খুবই সচেতনভাবে প্যারিস পরিবেশ সামিট থেকে বেরিয়ে এসেছে। উদ্দেশ্য কেবলমাত্র ইরাণের সাথে আরেকটি যুদ্ধ ব্যবসার ফায়দা আদায়। ফলে এই প্লাষ্টিক বর্জ্যের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন সকল মিত্রদেশগুলোকে ভুল বুঝিয়ে পরিবেশ রক্ষার কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা নিয়েই এখনও ব্যস্ত। এ চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে?