হারুনূর রশীদ।।
লন্ডন: শনিবার, ২২শে অক্টোবর ২০১৬:
আমেরিকার নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দুনিয়াব্যাপী কতই না রংবেরং এর ঘটনা ঘটছে, আসলেই তার কোন হিসাব দেয়া দুনিয়ার কারো পক্ষে সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। প্রতি মূহুর্তে দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে অপ্রান্ত সর্বত্র রং বদলাচ্ছে। সেই বুঝে আসার পর থেকেই দেখতে পাচ্ছি আমেরিকায় নির্বাচন আসলেই বছর দুই আগ থেকেই শুরু হয় স্বয়ং আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মাত্রায় ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব প্রচারাভিযান। তার কোনটি যে সত্য আর কোনটি যে মিথ্যা, এককথায় মিথ্যা থেকে সত্যকে বের করে নিয়ে আসা একরকম অসম্ভব। আরেকটি বিষয় সম্ভবতঃ কারো নজর এড়ায়নি যে আমেরিকার নির্বাচন এলে মধ্যপ্রাচ্য বা আরব বিশ্ব যেনো এর ফলাফল নির্নয়ের কেন্দ্র হয়ে উঠে। বিশেষ করে, ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছোট হোক আর বড় হোক আরবের মাটিতে যুদ্ধ একটা হতেই হবে! কেনো এমন ঘটে বহু খোঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন রূপ আসল তথ্য বা তত্ত্ব পাইনি, অন্ততঃ নিজেকে শান্তনা দিতে পারি এমন।
এটি বুঝি আমেরিকা একটি দুনিয়া সেরা শক্তিধর দেশ। দুনিয়ার বিভিন্ন কোনে কোনে রয়েছে আমেরিকার বিভিন্নধর্মী স্বার্থের সম্পর্ক আর বাণিজ্য। অতএব এই রূপ একটি দেশের নির্বাচনের সময় আসলে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছুটা নড়া-চড়া দেখা যাবেই। কারণ সরকারের পরিবর্তন মানে ব্যক্তিরও পরিবর্তন। আর ব্যক্তির পরিবর্তন অর্থাৎ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট স্বার্থের রদবদল কিছুটা হলেও হবেই হবে। কিন্তু সবসময়ই আরব দুনিয়ায় ওলট-পালট হবে কেনো? আর শুধুই কি ওলট-পালট। যুদ্ধ! ভয়ঙ্কর যুদ্ধ! লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা! কোটি কোটি মানুষকে ঘরছাড়া বানিয়ে শরণার্থীর তকমা কপালে বেঁধে দিয়ে জীবনের জন্য উন্নত দুনিয়ার কৃতদাসে পরিনত করা। আর এসব করতে গিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ফরমায়েসী সংবাদের ছড়াছড়ি সংবাদ মাধ্যমে। এমন সব সংবাদ, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সময় লাগেনা। আসল কারণ খুঁজে বের করা অসম্ভব হয়ে উঠে। অনেক পড়াপড়ি, গবেষণা আর ধ্যান তদবির করে বুঝতে পেরেছি এ এক পাতানো খেলা। দুনিয়ার তাবৎ বিত্তবানদের এ এক খেলা। ভয়ঙ্কর সেই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা! আর সন ফিরে এলেই এই খেলার পেতে রাখা ঘুঁটিগুলো বেশ সক্রিয় হয়ে উঠে। নির্দেশিত সময় মত ঘটনার ঘন্টা বাজায়।
মধ্যপ্রাচ্যে তেমনি সাজিয়ে রাখা ঘুঁটি কল্পিত রাষ্ট্র ইসরায়েল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তেমনি কল্পিত রাষ্ট্র পাকিস্তান আর হিন্দুস্তান। ইসরায়েল বলে কোন রাষ্ট্র কখনও ছিল না। নবী ইব্রাহিমের পুত্র ইসহাকের বংশধরদের বলা হয় ইসরায়েলি। এ পর্যন্তই। ইতিহাসের কোথায়ও এদের কোন রাষ্ট্র বলতে কিছু ছিল না। যে প্রতিশ্রুত রাষ্ট্র বলে এরা দাবী তুলে বা বলে থাকে সেই ভুমি থেকে সেখানকারই তাদেরই আত্মীয়-স্বজন-প্রতিবেশীরা তাদের স্বভাব-চরিত্রের জন্য তাদের পিটিয়ে বহিষ্কার করে দিয়েছিল সেই কবে ইতিহাসের কোন সময় তা বলতে গেলে প্রাচীণ কিতাব বের করে বসতে হবে। সেই তাদেরই কিছু লোককে, একটি যুদ্ধের পর বিজয়ী শক্তিধর মোড়লেরা খুঁজে বের করে তাদের ঘুঁটি হিসাবে ইসরায়েল নাম দিয়ে বসিয়ে রেখেছিল। সময় সময় সেই ঘুঁটি নড়েচড়ে উঠে এবং প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার্থে লঙ্কাকান্ড ঘটায়। (পরে আরো আছে)