বড়লেখা প্রতিনিধি।। কন্টিনালা নদী হাকালুকি হাওরের নাগুয়া-ধলিয়া জলমহালের প্রবেশ মুখে হওয়ায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পলিমাটি ঢুকে জলমহালটি ক্রমশঃ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জলমহালের ছোট-বড় মাছ কন্টিনালা নদীতে ঢুকে পড়ায় লীজ গ্রহীতা সমিতি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনায় নদী ও জলমহাল ভরাট হচ্ছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে কয়েক দফা লিখিত আবেদন করেও প্রতিকার মিলেনি। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী সনে স্বল্প রাজস্বে ইজারা পাওয়ার দাবি লীজ গ্রহীতার। নাগুয়া জলমহালের সম্মুখ থেকে কন্টিনালা নদীটি জুড়ী নদীর সাথে সংযুক্ত করলে একদিকে নদী ও জলমহাল ভরাট বন্ধ হবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। দ্রুত নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, হাকালুকি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি জুড়ীর সভাপতি মির্জান আলী বছরে ২৩ লাখ টাকা রাজস্ব প্রদানের চুক্তিতে নাগুয়া-ধলিয়া জলমহাল ১৪২২ বাংলা হতে ১৪২৭ বাংলা সন পর্যন্ত লীজ পান। কন্টিনালা নদী জলমহালের প্রবশে মুখে হওয়ায় পাহাড়ী ঢলে পলিমাটি প্রবেশ করে জলমহালটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। জলমহালের সাথে নদী সংযুক্ত থাকায় জলমহালের ছোট-বড় মাছও নদীতে চলে যায়। এতে জলমহালের লীজ গ্রহীতা ক্ষতির সম্মুখীন। এব্যাপারে সমিতির সভাপতি মির্জান আলী জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি। ইজারামূল্য যোগান দিতে তাকে জায়গা-জমি বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী ইজারায় স্বল্পমূল্যে ইজারা পাওয়ার দাবী করছে লীজ গ্রহীতা সমিতি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আলী, হাকালুকি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মির্জান আলী, সম্পাদক শামছুল ইসলাম, ইকবাল আহমদ, শাহিন আহমদ, আব্দুল লতিফ, অহিদ মিয়া, ফরমুজ আলী, প্রমুখ জানান, কন্টিনালা নদীটি জলমহালের সম্মুখ থেকে খনন করে ৬ কিলোমিটার দূরবর্তী জুড়ী নদীর সাথে সংযুক্ত করলে পলিমাটি মাটি ঢুকা বন্ধ হবে। নতুবা ভবিষ্যতে এ জলমহালটি ইজারা নিতে কেউ আগ্রহী হবে না। এতে সরকার রাজস্ব হারাবে। তারা কন্টিনালা নদীর দ্রুত খনন ও জুড়ী নদীর সাথে সংযুক্ত করার দাবী জানান।
|