লন্ডন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হেফাজতে ইসলামের তেঁতুল হুজুর মৌলানা শফি মহোদয়ের বৈঠকের খবরে গণমাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা মন্তব্যের তুফান তুলেছে। এসব আলোচনা মন্তব্যের সবগুলো যে খুবই প্রণিধানযোগ্য বা সময়োপযোগী তা নয় তবে আমার দেখা ও পড়া অধিকাংশই সুস্থ আলাপের বিষয়বস্তু হতে পারে। অনেকেরই চিন্তার খোরাক যোগাবে নিঃসন্দেহে।
মন্তব্য করতে গিয়ে একজন শ্যামল শিশির লিখেছেন, “একই সরকার একই সময়ে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছে এবং উগ্রবাদের পরিচর্যাকে ফরয ইবাদত হিসেবে পালন করছে”।
অসীম চক্রবর্তী লিখেছেন, “আপনাদের আপথে, বেপথে হাটতে দেখলে আমাদের কষ্ট হয়। যাদের খুশি করতে চাইছেন এদের জীবন দিয়েও খুশি করতে পারবেন না। আর এরা জীবন গেলেও নৌকায় ভোট দেবে না। শত্রুকে আপন করতে গিয়ে মিত্রকে শত্রু বানাচ্ছেন”।
আব্দুল্লাহ আল কাফী খালেদা জিয়ার সাথে গোলাম আজমের আর শেখ হাসিনা সাথে আহমদ শফির ছবি পাশাপাশি পোস্ট করে লিখেছেন, “এ দু ছবির মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কী”
শওগাত আলী সাগর লিখেছেন, “আজকে যারা গ্রীক মূর্তি সরাতে বলে, একদিন তারা শেখ মুজিবের মূর্তিও সরাতে বলবে”।
ওয়াসেক বিল্লাহ সৌধ লিখেছেন, “…… ভারতে হিন্দুত্ববাদ যেমন গরুতে এসে ঠেকেছে, সেখানে আমাদের এখানে ইসলাম প্রতিপক্ষ করেছে ভাস্কর্যকে? তাহলে যে পড়েছি, মহানবী (সা.) মক্কা বিজয়ের পর সেখানে থাকা ৬২টি মূর্তির একটিও নিজ হাতে সরাননি, সেই চেতনা কি ইসলাম সম্মত নয়? তার জীবদ্দশায় ৫৮টি মূর্তি সরানো হয়েছিল, সেটা সেসব গোত্রের ইচ্ছায়, আর বাকি চারটি সরানো হয়েছিল তার মৃত্যুর পর। ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যদি এগুলো রেখে ইবাদত করা যায়, তাহলে এখন ভাস্কর্য রেখে ইবাদত হয় না? আমাদের বিচার ব্যবস্থাও তো ইসলামী শরিয়া আইন মোতাবেক নয়। সেটাও কি পাল্টে দেবেন হেফাজতের কথায়?”
এছাড়াও আরো ভাল মুখরোচক বহু মন্তব্য বহুজন লিখেছেন সবক’টি এখানে তুলে দেয়া আদৌ সম্ভব নয়। একনজরে যা দেখেছি তাই এখানে তুলে দিয়েছি।