মিশরের বাদশাহ দের আরবী ভাষায় ‘ফারাহ্’ বলা হতো। ‘ফারাহ্’ শব্দটি মূলত আরবী ভাষা থেকে উৎপত্ত একটি শব্দ। পরে শব্দটি ফারসী ও উর্দূ ভাষায়ও ব্যবহার হয়েছে। ‘ফারাহ্’ শব্দের আভিধানিক অর্থ দাড়ায় সুখ, আনন্দ, খুশী আবার জ্ঞানীও।
মিশরের বাদশাহ্ দের উপাধি ছিল ‘ফারাহ্’। পাশের এই ছবিটি দেখে মনে হবে একজন ঘুমন্ত মানুষের ছবি। হ্যাঁ তা ঠিকই ছবিটি একজন ঘুমন্ত মানুষেরই। আর এই ঘুমন্ত মানুষই হলেন মিশরের বিশ্ব ইতিহাসখ্যাত সেথি শাসক বংশের ১৯তম বংশপুরুষ সেথি-১ এর।
তিনি ছিলেন মিশর ইতিহাসখ্যাত সম্রাট ২য় রামেসিসের বাবা। তার সময়েই মিশরে মমি নির্মাণকাজ উন্নতির শিখরে পৌঁছেছিল। আর সম্রাট সেথি-১এর শরীরই মমি করে রাখার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন।
আজও তার মমিটি সেই চার হাজার বছর আগের মতই ঘুমন্ত অবস্থায় বলতে গেলে অক্ষত অবস্থায়ই রয়েছে।
সেথি-১ এর রাজত্বকাল ছিল খৃষ্টপূর্ব ১২৯০ থেকে ১২৭৯ সাল।
আজ থেকে ৩,২৯৮বছর আগে সেথি-১ মারা যান। তার মমিকৃত সে মৃত দেহাবশেষটি এখনও সেই আগের মতই ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে মিশরের যাদুঘরে। গবেষকদের মতে সেথি-১এর শরীরখানাই মিশর ইতিহাসের সবচেয়ে উন্নত মানের মমিকরা শরীর।
তথ্যসূত্র: কৌড়া অন্তর্জাল
|