এমপি- আমি জননেতা নই, আমি জনগনের সেবক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি জননেতা ছিলেন, পাশাপাশি বাঙ্গালী জাতির সেবকও ছিলেন। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হবে। মন থাকলেই কোন না কোনভাবে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। মানুষের সমলোচনাও গ্রহণ করতে হবে। বুঝতে হবে আমার কোন ত্রুটি ছিল। এটিকে বের করে নিজেকে সংশোধন করতে হবে। এভাবে জনগণের সাথে মেশার এবং তার মনেব কথা জানার আগ্রহ থাকতে হবে। জনগনের চাহিদা কি, কারো ব্যক্তিগত চাহিদা রয়েছে, কারো প্রাতিষ্ঠানিক চাহিদা, কারো সামাজিক চাহিদা থাকতে পারে। তবে চাহিদার একটা শ্রেণি আছে। এর মধ্যে সামাজিক চাহিদা সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
এমপি– আমি যে দল করি সেই দলের একটা আদর্শ আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দিকটি হলো, সাধারণ মানুষের মুখে হাঁসি ফুঠানো। এ’কারণে সাধারণ মানুষরা বঙ্গবন্ধুকে এত ভালবাসে এবং আওয়ামীলীগকে ভালবাসে। এই ভালোবাসার কারণেই আমার নির্বাচনীএলাকায় আমি বার বার নির্বাচিত হয়েছি। এই কৃতিত্ব এলাকাবাসীর। মানুষ আমাকে ভালোবাসে বলেই সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারছি।
এমপি- পার্লামেন্টের সদস্য যখন জনগনের দ্বারা নির্বাচিত হয়, তখন গণমাধম্যের সৌজন্যে একটা সংযোগ স্থাপিত হয়। এটি হলো নির্বাচিত সংসদ সংসদের মাধ্যমে জনগন এবং পার্লামেন্টের মধ্যে যোগসূত্র। পার্লামেন্ট চলাকালীন যে বক্তব্য আমরা দেই, তা জনগণের কাছে পৌছাতে হলে গণমাধ্যমের প্রয়োজন। আর পার্লামেন্টরী প্রেক্টিকস যদি কেউ না যানে, তাহলে পালামেন্টারী বিতর্কে অংশগ্রহণ করা তার জন্য কঠিন হবে। এই প্রেক্টিকসটা কি? আপনাকে রোলস অব প্রসিজিওর জানতে হবে, কিভাবে কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী কাজ করা যায়। ব্যক্তিগত আচরণ সঠিক থাকতে হবে। সংসদীয় কমিটিতে কাজ করার জন্য যোগ্যতা থাকতে হবে। তবে সফল সংসদ সদস্যের সংজ্ঞা কি, এককভাবে বলা কঠিন।
আমরা যখন সংসদে বলি, তখন জনগণের ভালোর জন্য বা কল্যাণের জন্য নিজ থেকে অনেক কিছু সংসদে উপস্থাপন করি। যখন উপস্থাপন করি তখন আমরা এভাবে বলি “এলাকার জনগণ এই চায়, ঐ এলাকার মানুষ সঠিক দাবী করেছে” মসজিদ, মন্দির রাস্তা করতে হবে।” জনগণের দাবী হিসেবে আমরা এসব উপস্থাপন করি।
এমপি- এটি ঠিক জনগণের সকল চাহিদা একসাথে পূরণ করা সম্ভব হয় না। জনগণের প্রতাশা পূরণ সর্বোতভাবে হয় না। তারপরেও আমি কাজ করে যাছি। যাতায়াতের সুবিধার জন্য জন্য রাস্তাঘাট করে দিয়েছি, যতগুলো প্রয়োজন ছিল বিদ্যালয় সরকারি করার এগুলো আমি করে দিয়েছি। এ সবগুলোই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজ। তিনি সব সময় বলে থাকেন, কাজ কর, মানুষের কাছে থাকে। মানুষের কাছে থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত কর।
এমপি- আমি দীর্ঘ ছয় মেয়াদে এই এলাকার জনপ্রতিনিধিত্ব করেছি। নিশ্চয়ই আমার প্রতি দলের আস্থা রয়েছে। আমার দলের স্থানীয় যারা রয়েছেন, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যয়ের যারা নেতা রয়েছেন, তাদের একটা তাদের একটা বিশ্বাস, আমাকে মনোনয়ন দিলে জনগণ ভোট দিবে। সেই আলোকেই আমি বার বার দল থেকে মনোনয়ন পাচ্ছি এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করছি।
প্রতি বছরই কিন্তু আমার ভোট বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকের কমে, আমার বৃদ্ধি পায়। আর আমার সাথে অন্যদলের যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করেন, তাবা সবাই কালো টাকার মালিক। কালো টাকা দিয়ে তারা বারবার বিজয় ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত পারে নাই। তারা লেগেই আছে, আগমীতেও থাকবে। এসব মাথায় রেখেই আমাদের এগুতে হবে।
উত্তর- দলের প্রধান যে নির্দেশ দেন, এর বাইরে যাওয়ার প্রযোজন পড়ে না। এবং বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগও নেই। আমরাও সেইভাবে চলি। যেহেতু মনোনয়ন দেন তিনি নিজেই, তাই মনোনয়ন দেয়ার সময় তিনি বিচার করেন, যাকে মনোনয়ন দিবেন, সে কি আদৌ মানুষের কাছের লোক কিনা। সরকারেরও বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে যারা তৃনমুল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রে পাঠায়। গোপনীয় এসব বিষয় আমাদের জানার সুযোগ নেই।
আওয়ামীলীগ একটি গণতান্ত্রিক বিশাল রাজনৈতিক সংগঠন। তৃনমুল থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত যারা রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের প্রত্যাশা থাকে নির্বাচন করার। কেউ এমপি হতে চায়, কেউবা চেয়ারম্যান, কেউ মেম্বার হতে চায়। এই প্রত্যাশায় বাধা দেয়ার সুযোগ কারো নেই। কোন পার্থীকে না করার সুযোগ নেই। দল থেকে ৫ জন ৭ জন মনোনয়ন চাইতেই পারে। দল করলে এবং সেই দলে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকলে প্রার্থী হওয়ার কোন বাধা নেই।