1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মিথ্যা মামলার হয়রানীতে রাজনগরের দুই পরিবার। ফাঁসাতে মরিয়া প্রতিপক্ষ - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

মিথ্যা মামলার হয়রানীতে রাজনগরের দুই পরিবার। ফাঁসাতে মরিয়া প্রতিপক্ষ

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৯
  • ৬৯০ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা দপ্তর।। মৌলভীবাজারের আমাদের এক সুহৃদ সাংবাদিক, প্রকাশের জন্য একটি সংবাদ নিবন্ধ পাঠিয়েছেন। সংবাদটির বিবরণে তিনি যা উল্লেখ করেছেন তাতে জানা যায় যে রাজনগর উপজেলার দাদন ব্যবসায়ী এক মহিলা প্রতিবেশী দুই পরিবারের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত হত্যা মামলা দায়ের করে ওই পরিবারদ্বয়কে আর্থিক নাজেহাল করছেন। তার নিবন্ধ থেকে জানা যায়, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক শিশুর দাফন-কাফন সম্পন্ন হয়ে যাবার পর তার মা শামিমা বেগম তারই প্রতিবেশী নিরীহ দুই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করে দেন। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। মামলা বাঁধানোর পর শামিমা বেগম ওই প্রতিবেশীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোঠা অঙ্কের টাকা দাবী করেন তাদের কাছে। তার ছেলের পানিতে ডুবে মরে যাবার ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১২/০৬/২০১৮ ইং তারিখ(মঙ্গলবার)-এ।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আমাদের ওই সুহৃদ জানান, প্রায় ৭ মাসে আগে উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের হান্নান মিয়া ও শামীমা বেগম-এর সাড়ে ৫বছর বয়সী পুত্র সোহান আহমদ ইমাদ প্রতিদিনের মত খেলার সাথীকে নিয়ে পুকুর পাড়ের নিকটবর্তী একটি নালায় রাখা নৌকাতে উঠে, গাছ থেকে জাম খেতে। তাৎক্ষনিক নৌকায় নড়া-চড়া শুরু হলে সে নৌকা থেকে পড়ে ডুবে যায়। পরে স্বজনরা খুঁজাখুঁজি করে ওই নালা থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় খালের পাড়ে তার পায়ের জুতাও পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক পাশ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ওই দিন নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান, মাতা শামিমা বেগম ও স্বজনরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিদুজ্জামান ছালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবিরকে জানিয়ে লাশ দাফন করেন।
বাড়ির নিকট আত্মীয়রা জানিয়েছেন, লাশ দাফনের পরদিন শামীমা ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে একই উপজেলার ফতেপুর ইউপি’র শাহাপুর গ্রামে বাপের বাড়ি চলে যায়। সেখানে গিয়ে ভাই-বোনের প্ররোচনায় রাজনগর থানায় মিথ্যা মামলা করতে গেলে থানা ঘটনার সত্যতা না পেয়ে মামলা গ্রহন করেনি। পরবর্তীতে শামীমা গত ১৮/০৬/২০১৮ ইং তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমল আদালতে একই বাড়ির আব্দুল মালিকসহ নারী-পুরুষ মিলিয়ে দুই পরিবারের মোট ৫জনকে আসামী করে একটি পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করে(মামলা নং-১৭৫)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সুহৃদ সাংবাদিক আরো লিখেছেন, শামীমা একজন দাদন ব্যবসায়ী ও টাকা লোভি মহিলা। তার বাপের বাড়ির তরফ থেকে বিবাদীদের ওই সময়ে জানানো হয়েছে মোটা অংকের টাকা দিলে বিষয়টি মামলা পর্যন্ত গড়াবেনা। এ ছাড়াও মৌলভীবাজার আদালতের এক আইনজীবী না-কি মন্তব্য করেছেন এই বলে যে, মোকদ্দমা লেখার সময় তিনি দেখেছেন ওই মহিলার চোখ থেকে একফুটো জল পর্যন্ত বেরিয়ে আসেনি।
তার নিবন্ধ থেকে আরো জানা যায়, মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজনগর থানার এসআই জিয়াউল ইসলাম আদালতের আদেশে প্রথমে তদন্তে নামেন। এসময় তিনি ওই বাড়ির লোকজনসহ পুরো গ্রামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তদন্ত করে ওই শিশুটি পানিতে পড়ে মারা গেছে বলে নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে আদালতের আদেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়না তদন্ত করে হাসপাতালের পক্ষ থেকে রিপোর্ট দেয়া হয়। রিপোর্টে বলা হয় “গলিত লাশ থাকার কারণে কোন মতামত দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা”। পরবর্তীতে এসআই জিয়াউল মৌলভীবাজার মডেল থানায় বদলি হওয়ায় থানার এসআই বিনয় ভূষন চক্রবর্তী বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করতে সরেজমিনে যান। এসআই বিনয় একাধিকবার সরেজমিনে তদন্ত করে পানিতে মরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হন। তদন্তকালে তিনি বাদীর মানিত স্বাক্ষীসহ ওই বাড়ির সবার জবানবন্দি নিয়ে পানিতে মরে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন তৈরিসহ হাসপাতালের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করেন। প্রতিবেদনে ওই শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে মর্মে উল্যেখ করেন।
পরবর্তীতে গত ০৯/০১/২০১৯ ইং তারিখে বাদীনীর নারাজীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৪নং আমলী আদালত এফআইআর রুজু সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণের জন্য রাজনগর থানাকে নির্দেশ দেন।
এর পর সুহৃদ সাংবাদিক লিখেছেন, মামলার আসামী আব্দুল মালিক গংরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছেন। আব্দুল মালিক তাকে জানিয়েছেন, পানিতে পড়ে মারা যাওয়া শিশুর লাশ দাফন-কাফন করে প্রায় পনেরো দিন পর শামিমা বেগম ঠান্ডা মাথায় মিথ্যা মামলা দিয়ে দুই পরিবারের বৃদ্ধ মহিলাসহ ৫জন মানুষকে অহেতুক কষ্ট ও হয়রানী মধ্যে রেখেছেন। লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বাদীনীর স্বাক্ষীসহ অন্যান্য স্বাক্ষীর জবানবন্দিতে ওই শিশুটি পানিতে পড়ে মারা গেছে বলা হয়েছে।
এই ঘটনার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এখানে সরকারী কোন পক্ষই কোন কর্মখেলাপে জড়িত নন। শামীমা বেগম ধারনা করেছেন তিনি বিচার পাননি। তাই একটি মিমাংশার বিরুদ্ধে তিনি নারাজী দিয়ে হয়তো পুনর্বিচারের দাবী করেছেন। তিনি যে-ই হন না কেনো এমন দাবী তিনি করতেই পারেন। এটি তার অধিকার। তিনি দাদন ব্যবসায়ী কি-না এবং মামলাটি মিথ্যা কি-না এ সমূহ বিষয় আদালত দেখবে। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। আর বিচারাধীন কোন বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া সঠিক বিচারকেই প্রভাবিত করে বিধায় না করাই বিধান সম্মত।
আমরা শুধু এ টুকুই উল্লেখ করতে পারি, বিচারের প্রক্রিয়া দীর্ঘম্যাদী হলে বাদী-বিবাদী কিংবা বাদী-আসামী উভয়েই আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। আমাদের মত গরীব দেশে সরকার ব্যাপক জনগোষ্ঠীর নিখরচায় বিচারের ব্যবস্থা এখনও করতে পারেনি।
একই সাথে আমরা শুধু ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার মহাশয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে পারি এই যে, গলিত লাশ থাকার কারণে কোন মতামত দেয়া যদি সম্ভব না হয়ে থাকে তা’হলে এক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে সে তিনিই বলতে পারেন। ন্যায় বিচারের জন্য কেউ না কেউকেতো স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এ সমূহ  কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই না সুবিচার প্রতিষ্ঠা পাবে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT