(প্রথম পর্ব)
কেন এই লেখাটি
বিষাদ সিন্ধু বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বহুল পঠিত উপন্যাস। কারবালার নির্মম ট্রাজেডিকে কেন্দ্র করে মীর মশাররফ হোসেন উপন্যাসটি লিখেছেন; কিন্তু কারবালার সত্য ইতিহাসকে পাশ কাটিয়ে মীর মশাররফ হোসেন অসংখ্য বানোয়াট কল্পকাহিনীর মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাসে সত্য ও ন্যায়ের মহান এক বিপ্লবকে বিকৃত করেছেন। হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর মহান আত্মত্যাগ শুধু মুসলমানদেকে প্রেরণা দিচ্ছে না বরং দুনিয়ার সকল ধর্মের মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে প্রেরণা দিচ্ছে। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুগে যুগে অনেক বিপ্লবী জীবন উৎসর্গ করে ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন; কিন্তু ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর মতো কোনো বিপ্লবীর দেখা ইতিহাসে পাওয়া যায় না। হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এমন এক বিপ্লবী, যিনি নিজের এবং সঙ্গী-সাথীদের তো বটেই, এমনকি নিজের দুধের বাচ্চাটির জীবনও সত্য প্রতিষ্ঠায় উৎসর্গ করেছেন! কারবালার সত্য ইতিহাস যেখানে পাথর হৃদয়কে কাঁদায়, সেখানে মিথ্যা কল্পকাহিনী নিষ্প্রয়োজন। এরপরও কল্পনার তুলি দিয়ে যেকোনো ঘটনা উপস্থাপনের অধিকার যেকোনো লেখক বা সাহিত্যিকের আছে; কিন্তু কল্পনার তুলির ছোঁয়ায় কারো চরিত্র হরণের অধিকার কোনো লেখকের নেই। দায়বদ্ধতা বলে যে একটি কথা আছে, তা তো লেখকের মনে থাকতে হবে। তাই বিবেকের লাগাতার দংশনে লেখাটি লিখতে বাধ্য হলাম!
বিষাদ সিন্ধুর জনপ্রিয়তা
বাংলা সাহিত্যে বিষাদ সিন্ধুর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। সাহিত্য অঙ্গন থেকে শুরু করে একেবারে সাধারণ পাঠক পর্যন্ত সবাই বিষাদ সিন্ধুতে মুগ্ধ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিষাদ সিন্ধু ভিনদেশীদেরও আকৃষ্ট করেছে। এই তো সে দিন পত্রিকায় দেখলাম ভারত থেকে বিষাদ সিন্ধু ইংরেজি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। সংস্করণ এবং প্রকাশনার দিক দিয়েও বিষাদ সিন্ধু সবাগ্রে। বিষাদ সিন্ধুই বাংলা সাহিত্যে মীর মোশাররফ হোসেনকে অমর করে রেখেছে। তাই তো বিষাদ সিন্ধু প্রকাশের ১২৫ বছর পরও মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকীতে মিডিয়ায় বলা হয়, আজ বিষাদ সিন্ধু লেখকের জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকী!
শাহ্ গরীবুল্লাহর ‘জঙ্গনামা’ থেকে বিষাদ সিন্ধু
শাহ গরীবুল্লাহ রচিত জঙ্গনামা থেকে মীর মশাররফ হোসেন সাহেব বিষাদ সিন্ধুর কাহিনী নকল করেছেন। জঙ্গনামার বিতর্কিত বিষয়গুলিই বিষাদ সিন্ধুতে মীর সাহেব ধারাবাহিকভাবে এনেছেন। জঙ্গনামা আর বিষাদ সিন্ধু পাঠ করে ভাষাগত বর্ণনা ব্যতিত আর কোনো পার্থক্য আমার চোখে ধরা পড়েনি।
বিষাদ সিন্ধু ইতিহাস নির্ভর, নাকি কাল্পনিক
বিষাদ সিন্ধুকে অনেকে ইতিহাস—আশ্রিত উপন্যাস বলে দাবি করে থাকেন। কিন্তু ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থগুলির বর্ণনায় প্রমাণ হয় বিষাদ সিন্ধু সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি উপন্যাস। কারবালার সত্য ইতিহাস আর বিষাদ সিন্ধুর মাঝে রাত-দিন পার্থক্য বিদ্যমান। কয়েকটি ঐতিহাসিক নামের ব্যবহার এবং হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর কাফেলা কারবালা ময়দানে যাওয়া ব্যতীত বিষাদ সিন্ধুতে কারবালার সত্য ইতিহাসের আর কিছু পাওয়া যায় না। সুতরাং বিষাদ সিন্ধু লেখক মীর মোশাররফ যতই ইতিহাসের দোহাই দেন না কেন, বিষাদ সিন্ধুকে কখনই ইতিহাস নির্ভর বলা যায় না। বিষাদ সিন্ধু উপন্যাসটি হলো মীর মশাররফ হোসেনের কল্পনাপ্রসূত, যা অসংখ্য বানোয়াট কল্পকাহিনীতে ভরপুর। কারবালার সত্য ইতিহাসকে পদদলিত করে বিষাদ সিন্ধুতে কারবালার ঘটনার বিকৃতরূপই উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিষাদ সিন্ধুর সাহিত্য মান
বিষাদ সিন্ধুর সাহিত্যমান নিয়ে প্রশ্ন তোলার দুঃসাহস আমার নেই। বিষাদ সিন্ধু পাঠ করে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য! শব্দের চমৎকার গাঁথুনি দিয়ে একের পর এক ঘটনা সাজিয়ে বিষাদ সিন্ধু রচনা করে মীর মশাররফ পাঠককে এতটাই আকৃষ্ট করেছেন যে, কেউ যদি বিষাদ সিন্ধু পাঠ করা শুরু করে, তাহলে শেষ না করা পর্যন্ত স্বস্তি পাবে না! কাল্পনিক কাহিনীগুলো এনে মীর মশাররফ হোসেন পাঠকের হৃদস্পন্দন গতি বাড়িয়েছেন এবং কাঁদিয়েছেন। একজন লেখকের কল্পনা শক্তি কত গভীরে যেতে পারে, বিষাদ সিন্ধু পাঠ করলে যে কেউ বুঝতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, যে সাহিত্য মহান ব্যক্তিদের চরিত্রের ওপর অপবাদের তিলক রেখা এঁকে দেয়, সেই সাহিত্য কি দায়বদ্ধতার মানদণ্ডে আটকে পরে না? সাধারণ পাঠক তো আর সাহিত্যিক নয় যে, তারা বিষাদ সিন্ধুকে সাহিত্যের দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করবে।
প্রতিভা নামক একটি কলম
মীর মশাররফ হোসেনের কলমটি কী পরিমাণ ক্ষুরধার ছিল, তা বিষাদ সিন্ধুতেই ফুটে ওঠেছে। ধারালো তরবারি যেমন নিমেষেই সবকিছু চুরমার করে দিতে পারে, মীর মশাররফ হোসেনের কলমটি ঠিক সেভাবেই কারবালার ঐতিহাসিক বিপ্লবকে বিকৃত করেছে এবং সুকৌশলে আল্লাহর প্রিয় হাবীব (সা.) এর আহলে বায়তের সদস্যদের চরিত্রে কালিমা লেপন করেছে। প্রতিভা আছে বলেই যা ইচ্ছা তা করা যায় না কিন্তু মীর মশাররফ সাহেব বিষাদ সিন্ধুতে তাই করেছেন। বিশ্ব মুসলিমের আবেগ আর ভালবাসা যে নামগুলোর সাথে মিশে আছে, সে নামগুলো নিয়েই মীর সাহেব সাহিত্য খেলা খেলে নিজের কলমের প্রতিভার ঝলক দেখালেন! আর অবশ্যই সে ঝলক ছিল বিকৃত, বিশ্রী এবং পীড়াদায়ক।
অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু শব্দ
বিষাদ সিন্ধুতে লেখক এমন কিছু শব্দ এনেছেন, যা যেকোন মুসলমান পাঠকের কাছে চরম অস্বস্তিকর! যেমন—মহান আল্লাহকে—ইশ্বর, পরমেশ্বর, জয় জগদিশ, ভগমান বলা, নবী (সা.) কে—প্রভু, সূর্যকে—সূর্যদেব, সন্ধ্যা বেলাকে—সন্ধ্যা দেবী, সম্মানিতকে—পূজনীয় ইত্যাদি বলা। যা পাঠ করে যে কোন সচেতন পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক যে, মীর মশাররফ হোসেন তুমি কার?
(দ্বিতীয় পর্ব)
বিকল্প পথ
মীর মোশাররফ হোসেন চাইলে বিষাদ সিন্ধুকে নিয়ে বিকল্প পথেও হাঁটতে পারতেন। তিনি কারবালার সত্য ইতিহাসকে ধারণ করে ইতিহাসের নিরিখেই উপন্যাসটি লিখতে পারতেন। পাকিস্তানের বিখ্যাত সাহিত্যিক এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ যেভাবে প্রখ্যাত সাহাবী, মহাবীর হযরত খালিদ বিন ওলিদ (রা.) এর বীরত্বের ইতিহাস নাঙ্গা তলোয়ার (১) এবং নাঙ্গা তলোয়ার (২) তে তোলে এনেছেন ঠিক সেভাবে মীর সাহেবও বিষাদ সিন্ধুতে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর মহান আত্মত্যাগ এবং বিল্পবের ইতিহাস তুলে আনতে পারতেন। কারণ প্রতিভার দিক দিয়ে মীর সাহেবের পাল্লাই ভারি ছিল। কী এমন হত, যদি মীর মোশাররফ হোসেন ইতিহাসকে পাশ না কাটিয়ে, বরং ইতিহাসের নির্মোহ সত্য বিষাদ সিন্ধুতে তুলে আনতেন?
পাঠ্যপুস্তকে বিষাদ সিন্ধু
পাঠ্যপুস্তকে বিষাদ সিন্ধুর উপস্থিতিই বিষাদ সিন্ধুর প্রতি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আস্থা এবং বিশ্বাস সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থীদের কোমল হৃদয়ে বিষাদ সিন্ধুর মাধ্যমে যেভাবে কারবালার মিথ্যা কল্পকাহিনী গেঁথে যাচ্ছে, তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। হযরত ইমাম হোসাইনের মহান আত্মত্যাগ থেকে যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নেওয়ার কথা, সেখানে শিক্ষার্থীরা মিথ্যা কিছু কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছে না। যে সকল শিক্ষার্থী কারবালার সত্য ইতিহাস না জানবে এবং আলেমদের কাছ থেকেও কারবালার সত্যিকার ঘটনা জানার সুযোগ না পাবে, তারা তো পাঠপুস্তকের বিষাদ সিন্ধুর কাহিনীকেই বিশ্বাস করবে!
আলেমদের দায়
বিষাদ সিন্ধু নিয়ে আলেমদেরও অনেক দায় আছে বলে মনে করি, কারণ লক্ষ লক্ষ আলেমের পদধূলিতে ধন্য বাংলার বড়ো একটি অংশের মানুষ এখনও বিষাদ সিন্ধুকেই কারবালার সত্য ইতিহাস বলে বিশ্বাস করে আছে। শুধু যে সাধারণ মানুষ বিষাদ সিন্ধুকে গ্রহণ করেছে তা নয়, একজন কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের মুখে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদতের আলোচনায় যখন বিষাদ সিন্ধুর বানোয়াট কাহিনী স্থান পায়, তখন আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষ বিভ্রান্ত হওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়? বিষাদ সিন্ধু নিয়ে আমাদের আলেমদের অবস্থানটা হলো এমন যে, এটা একটি উপন্যাস তাই এটা নিয়ে আর কী বলার আছে! কিন্তু যে মানুষগুলো বিষাদ সিন্ধুকেই কারবালার সত্য ইতিহাস বলে বিশ্বাস করে বসে আছে, তাদের ভুল ভাঙানোর দায়িত্ব তো আলেমদেরকেই নিতে হবে। তাই বিষাদ সিন্ধু নিয়ে মানুষের সামনে বিস্তারিত আলোচনা এবং লেখা-লেখির প্রয়োজন রয়েছে।
বিষাদ সিন্ধুতে যে বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে
১. কারবালার ঘটনার সমস্ত দায়বার মহান আল্লাহতায়ালার ওপর চাপানো। অর্থাৎ—ইশ্বরের লীলা বলে মীর মোশাররফ হোসেন যেভাবে কারবালার মিথ্যা কল্পকাহিনী বর্ণনা করেছেন, তাতে সকল দায়বার মহান আল্লাহর ওপরই চাপানো হয়েছে।
২. একজন নারীকে কেন্দ্র করেই কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।
৩. হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই কারবালায় গিয়েছিলেন।
কারবালার ঘটনা নিয়ে বিষাদ সিন্ধু পাঠকের সন্দেহ দূর করতে একেবারে সংক্ষেপে কিছু বিষয় স্পস্ট করা হলো—হযরত মুয়াবিয়া (রা.) এর জীবদ্দশাতেই ইমাম হাসানকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়। সুতরাং ইয়াজিদের রাজত্বকালে ইমাম হাসান (রা.) জীবিত ছিলেন না।
মুহররম পর্বে বর্ণিত ইমাম হাসান রা: এর সাথে কথিত আব্দুল জাব্বারের স্ত্রীর বিয়ের ঘটনা, মদীনার সেনাবাহিনীর সাথে ইয়াযীদের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ এবং কারবালায় ময়দানে হযরত কাসেম (রা.) এর সাথে হযরত সকিনা (রা.) এর বিয়ের বিষয়টি একেবারেই বানোয়াট।
হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর হত্যাকারী পাপিষ্ঠ সিমারের বুকে লোম না থাকা এবং সিমারের সাথে হযরত ইমাম হোসাইনের এই বলে ওয়াদাবদ্ধ হওয়া যে, আল্লাহ সিমারকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত ইমাম হোসাইন (রা.) বেহেশতে প্রবেশ করবেন না। ( নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)।
উদ্ধারপর্বে বর্ণিত হযরত সকীনা (রা.) এর আত্মহত্যা, ইমাম হোসাইন (রা.) এর শির মোবারকের অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, হযরত ফাতিমার (রা.) এর জীবদ্দশায় হযরত আলী (রা.) অন্য নারীকে বিয়ে করা, মুহাম্মাদ ইবনে হানাফীয়ার সাথে ইয়াযীদের যুদ্ধ এবং ইমাম যায়নুল আবেদীন (রা.) এর পলায়নের ঘটনা সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক।
এজিদ বধ পর্বে বর্ণিত যুদ্ধে ইয়াযীদের পরাজয় ও গুপ্তপুরীতে প্রবেশ এবং মুহাম্মাদ ইবনে হানাফীয়ার কিয়ামত পর্যন্ত প্রস্তর বেষ্টিত পাহাড়ের মধ্যে বন্দি থাকার ঘটনাও কাল্পনিক।
শেষ কথা
সাহিত্যের একজন ক্ষুদ্র পাঠক হয়ে আমিও বিশ্বাস করি যে, কল্পনা দোষের কিছু নয়। কল্পনাই সাহিত্য সৃষ্টি করে। কল্পনা শক্তি দিয়েই একজন লেখক সাগরকে পাহাড় বানান আবার পাহাড়কে সাগর বানান। কল্পনার মাঝেই তো সাহিত্যের সৌন্দর্য লুকানো থাকে। লেখকের কল্পনা দিয়েই সাহিত্যের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। কিন্তু এই কল্পনা যখন কারো চরিত্র হনন করে, কারো চরিত্রে অপবাদের বিষ ঢেলে দেয়, তখন সেই সাহিত্যকে আর যাই হোক, অন্ততঃ সুসাহিত্য বলা যায় না! অনুল্লেখিত গ্রন্থের দোহাই দিয়ে, দিয়ে মীর মোশাররফ হোসেন কোটি, কোটি মুমিন-মুসলমানের আবেগ আর ভালোবাসার প্রিয় মানুষগুলির চরিত্র যেভাবে হনন করেছেন, তা যেকোনো মূল্যায়নেই অত্যন্ত বেদনাদায়ক! বলতে দ্বিধা নেই, মীর সাহেব সুকৌশলে বিষাদ সিন্ধুর রন্ধে, রন্ধে মিথ্যা অপবাদের সিন্ধুও ছড়িয়ে দিয়েছেন। আহ, ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে মজলুম ছিলেন, যুগে যুগে কিছু মানুষের কলম আর জিহ্বার কাছেও মজলুম!
লেখকঃ সংগঠক ও সমাজকর্মী।
8:37 PM-এ Rajon Ahmad দেখেছেন
Aa