যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে আসন্ন কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ¦ালানি প্রসার ও প্রতিশ্রুত অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবীতে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক, টিআইবি শ্রীমঙ্গল এর উদ্যোগে শহরের মৌলভীভবাজার রোডস্থ অফিস প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক, টিআইবি শ্রীমঙ্গল সভাপতি দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য্য’র সভাপতিত্বে ও টিআইটি এরিয়া কোঅর্ডিনেটর পারভেজ কৈরী এর স ালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য শিক্ষক জহর তরফদার, আরপি নিউজ এর সম্পাদক সৈয়দ আমিরুজ্জামান, এশিয়া টিভি শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এস কে দাস সুমন, স্বজন সদস্য সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ, স্বজন সহ আহবায়ক নিতেশ সুত্রধর প্রমুখ। মানববন্ধনে উপজেরা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি দুপ্রক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোধ আব্দুর রউফ তালুকদার, সনাক সদস্য শিক্ষক কবিতা রানী দাশ, কবি জাভেদ ভূইয়াসহ সনাক, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডসসহ অন্যারা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে আসন্ন কপ-২৬ সম্মেলন টিআইবি’র প্রত্যাশা এবং বাংলাদেশ কর্তৃক ওই সম্মেলনে উত্থাপনযোগ্য ৮টি দাবী তুলে ধরা হয়।
দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু বিষয়ক নীতি নিধারণে জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিদের অনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইএনডিসিসহ প্রশমন বিষয়ক সকল কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে শতভাগ জ্বালানি উৎপাদনে উন্নত দেশগুলোকে পর্যাপ্ত জলবায়ু তহবিল, প্রযুক্তি হস্থস্থার ও কারিগরি সহায়তা প্রদানে সিভিএফ এর পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে দাবী উত্থাপন করতে হবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে উন্নত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল প্রদান করতে হবে, জিসিএফসহ জলবায়ু তহবিলে ঋণ নয়, অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্ষতিপুরণের টাকা অনুদান হিসাবে প্রদান করতে হবে, দূর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় একটি ক্ষয়-ক্ষতি বিষয়ক আলাদা তহবিল গঠন করতে হবে, ক্ষয়-ক্ষতি নির্ধারণ এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্বচ্ছতার সাথে প্রস্তুতে একটি গাইডলাইন তৈরী করতে হবে এবং ঝুঁকি বিনিময়ে বীমার পরিবর্তে অনুদান ভিত্তিক ক্ষতিপুূরণ প্রদান করতে হবে, জিসিএফ এরস্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করে যথাসময়ে ও দ্রুততার সাথে প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ ছাড় করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ দেশে অভিযোজন এবং প্রশমন বিষয়ক ৫০:৫০ অনুপাত মেনে অর্থায়ন করতে হবে।