-জাকির হোসেন জুমন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন(কপ-২৬) এর অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি, বাংলার মানুষের আশা-ভরসার শেষ ঠিকানা, সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এঁর কপ-২৬ এ দুটি কর্মব্যস্ত দিন স্বচক্ষে দেখার মাধ্যমে যে এক অনন্যসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন আসলেই কষ্টসাধ্য। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ দূরে থেকে দেখলাম বীরদর্পে মৃদু পায়ে হেঁটে আসছেন আমাদের গৌরব আর অহংকার, জাতির পিতার রেখে যাওয়া আমানত, আল্লাহর তরফ থেকে বাংলার মানুষের জন্য প্রেরিত আশীর্বাদ, সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা। উনি এসে পৌঁছালেন এবং অবনত চিত্তে উনাকে অভ্যর্থনা জানানো হলো কমনওয়েলথের পক্ষ থেকে। কানে ভেসে আসলো এক ভিনদেশি মহিলা পাশের সঙ্গীকে বলছেন – “She is the Prime Minister of Bangladesh Her Excellency Sheikh Hasina”(উনি বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)! |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কপ-২৬ এর মূল সম্মেলন কক্ষে কপ-২৬ এর সভাপতি, সেক্রেটারি সহ সকল দেশের প্রতিনিধিগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে বিরল সম্মান দেখিয়েছেন তা সত্যিই অনন্য। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা সময়ের অভাবে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। উনার সাথে ১ মিনিট দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। আমাদের আর কী পাওয়ার আছে?! আমি গত কয়েকদিন সার্বক্ষণিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রামগুলো দেখে যে কয়েকটি বিষয় অনুধাবন করেছি তা হলো, উনি আপাদমস্তক একজন আমানতদার। উনার কর্মস্পৃহা দেখে মনে হলো উনি বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আমানতকে যতদিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারবেন ততদিন পর্যন্ত উনার এই পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে। ১৯৮১ সালে এই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার জন্যই আমাদের কাছে এসেছিলেন, তাই তিনি আজ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা বা পদবির চেয়ে বড় হলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। সেটা তিনি করবেন কারণ তাঁর নেতৃত্বে সেই দৃঢ়তা রয়েছে। তাই আমি দেশের সকলকে এই কথাই বলবো যে, জননেত্রীকে ভালোবেসে সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সবাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নিজের অন্তরকে পরিষ্কার রেখে বিবেকের আদালতে নিজের বিচার করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুযায়ী প্রতিটি কাজ করতে হবে। রাজনীতিতে সাময়িক সুযোগের সন্ধান না করে জননেত্রীর ভিশন অনুযায়ী কাজ করলে আজ কিংবা কাল মূল্যায়ন পাবেন তাতে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু আদর্শে যদি কোনো ধরনের শঠতা থাকে তাহলে প্রকৃতি এর বিচার করবে যেটা অতীতেও হয়েছে। কেননা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই পৃথিবীর বুকে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা ৭ কোটি মানুষেকে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র ৯ মাসে বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিন রাত যেভাবে পরিশ্রম করছেন সেটা যেন আমাদের কারণে বাধাগ্রস্থ না হয়। আমাদের কোনো কাজে দল যেন প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়। সবাই ভালো থাকবেন আর মহান আল্লাহর কাছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করে দোয়া করবেন। (লেখকঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং কপ-২৬ সম্মেলনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী) |