মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আগুনে ৬ পরিবারের টিনের তৈরী বসত ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার(১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের আংশিক বালিগাঁও গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- কামাল মিয়া, রঙ্গি বিবি, হালিমা খাতুন, রুনা বেগম, মতিন মিয়া ও হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে রান্নার চুলা অথবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হাবিবুর রহমানের ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহোযোগিতায় প্রায় ১ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কেউ অগ্নিদগ্ধ বা আহত হননি।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আমরা ৯৯৯-এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য চাই। তারা জানান, মুহুর্তেই ঘরের আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমনকি ব্যবহারী কাপড়গুলাও পুড়ে গেছে। আর কিছু রইলো না। আমাদের সব পরিবার মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো: রইছ আল রেজুওয়ান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, খুব খারাপ লাগছে এতগুলো পরিবার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপাতত উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের সহযোগীতা করা হয়েছে। আমার পৌরসভা থেকে তাদের ৬ পরিবারকে সর্ব্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ফয়েজ আহমেদ জানান, ঘটনার পর পরই তাঁদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় ৫ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও সহযোগিতা করা হবে।