বেশ পুরোনো এবং অনেক সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে এই বলে যে, মৌলভীবাজারে দিনদিন আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত ও নিয়মিত বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা কারাগারে বন্দির সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখন তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই কারাগারে।
কারাগারটি ৩১৬ জন বন্দির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হলেও গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিলেন ৭২৫ জন। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত বন্দির চাপ সামলাতে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এ ছাড়া কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জানা যায়, শহরের কেন্দ্রস্থল জেলাবিচারক আদালতের পাশে অবস্থিত পুরাতন কারাগারের জায়গা কম হওয়ায় ও বন্দিদের আবাসন না হওয়ায় শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার-ঢাকা রোডের গোমড়া মোকামবাজার এলাকায় নতুনভাবে মৌলভীবাজার জেলা কারাগার নির্মাণ করা হয়। নবনির্মিত এ কারাগারটি ২০০৪ সালে উদ্বোধনের পর পুরাতন কারাগার থেকে নতুন কারাগারে বন্দিদের স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, জেলার প্রতিটি থানায় নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার একাধিক মামলা হয়েছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। যার সকলেই জেলা কারাগারে বন্দি। এ ছাড়াও অন্যান্য মামলায় প্রতিদিনই দু-একজনকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান জানান, যারা নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের কাজ করছে- তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
মৌলভীবাজারের জেল সুপার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, ধারণক্ষমতার অনেক বেশি বন্দি হলেও বড় ধরনের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আসামির সংখ্যা দিগুণ বা তিনগুণ হলেও বন্দিদের খাবারের বরাদ্দে কোনো সমস্যা নেই। জেলা কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।