যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে প্রবাসী বাঙ্গালীদের
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, সোমবার, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে কয়েক শত প্রবাসী বাঙ্গালীদের এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজিত হয়। বেলা প্রায় ১টা থেকে আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা হাউস অব কমন্সের সামনে সমবেত হতে থাকেন। দূর দূরান্ত থেকেও অনেক প্রবাসী বাঙ্গালী প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত হয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে শ্লোগান দেন। তাদের উচ্চারিত প্রতিবাদ ধ্বনিতে বর্তমান সরকারকে নৈরাজ্যিকশাসন উল্লেখ করে অবৈধ দাবী করেন।
দূপুর ২ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্টিত প্রতিবাদ সমাবেশের শেষে বৃটিশ পার্লামেন্টের সামনে প্রবাসী বাঙ্গালীরা সমবেতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অত্যাচার, অনাচার এবং হত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলে দাবী করেন এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস-এর সরকার দাবী করার কোন ভিত্তি নেই উল্লেখ করে বলেন বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদ মোতাবেক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী এবং ১৭১ মিলিয়ন জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বের একমাত্র আইনানুগ দাবীদার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা অনির্বাচিত ভাবে সরকার প্রধান হবার কোন ব্যবস্থা উক্ত সংবিধানে নেই। সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসের দাবীর কোন আইনী, সাংবিধানিক বা গণতান্ত্রিক ভিত্তি নেই বলে উল্লেখ করে বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর অস্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চলমান অবস্থা থেকে উত্তরন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যর্পনে জাতিসংঘ সহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের সহায়তা কামনা করেন।
এছাড়াও বক্তাগন, দেশে চলমান হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মব জাস্টিস, অনাচার, অত্যাচার, গণ মামলা বন্ধের আহবান জানিয়ে অবৈধ সরকারের পদত্যাগেরও দাবি তুলেন প্রতিবাদ সমবেশে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় সভায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি হরমুজ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মাসুক ইবনে আনিস, আ. স. ম. মিসবাহ, রবিন পাল, খসরুজ্জামান খসরু, সারব আলী, ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, কাওছার চৌধুরী, আহমেদ আহসান, নজরুল ইসলাম অকিব, আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, আনসারুল হক, সৈয়দ ছুরুক আলী, আফসার খান সাদেক, আব্দুল হোসেন, ফখরুল ইসলাম মধু, সেলিম আহমদ খান, জামাল আহমদ খান, মাহবুব আহমদ, তামিম আহমদ, জোবায়ের আহমদ, আজিজুল আম্বিয়া, আনজুমান আরা অন্জু, শাহিনা আক্তার, হোসনে আরা মতিন, ছালমা বেগম, মিফতা নূর, সামিরুন চৌধুরী, আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, আব্দুল বাছির, তামিম আহমদ, সজিব ভূইয়া, জাকির আখতারুজ্জামান খান, আফজল হোসেন ও মাহবুব আহমদ।