রাসলীলা সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে যা বুঝেছি, শ্রী কৃষ্ণ প্রেম দিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসার কথা বুঝিয়েছেন।
-কমলগঞ্জের মহারাসলীলায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
আব্দুল ওয়াদুদ।। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন বক্তব্য দেয়া খুব কঠিন কাজ। আপনারা জানেন আমি সারা জিবন নাটক করেছি। নাটকে লিখে দিলে পড়ে অভিনয় করা যায়। কিন্তু বক্তৃতা তো সবক্ষেত্রে লেখা হয়না, নিজের থেকে দিতে হয়। আমি বেশী লেখা পড়া করিনি। সংস্কৃতি চর্চা করেই রাজনীতিতে এসে জড়িয়ে পড়লাম। পড়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমাকে মন্ত্রীত্বের দ্বায়িত্ব দিলেন। তিনি সোমবার রাতে কমলগঞ্জের মাধবপুরের মহারাসলীলায় এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনিপুরীদের প্রশংসা করে বলেন, কমলগঞ্জের মনিপুরী জনগোষ্ঠী যে সাংস্কৃতিক চর্চ্চা করেন, তারা যে নাটকে অভিনয় করে দেখান, তা আমাদের দেশে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মাঝে খুব কম আছে। তিনি বলেন, এ রাসলীলা সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে যা বুঝেছি, শ্রী কৃষ্ণ প্রেম দিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি আরো বলেন ইসলাম ধর্মে আছে, মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা না থাকলে আল্লাহ আমাদের নামাজ গ্রহন করেননা।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে গেলে কোন সমাধান করতে পারবেননা। আপনাকে মুকাবেলা করতে হবে। দেশের অস্থিতিশীলতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের প্রেতাত্মারা বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, তারা তা চায় না; তারা চায় না স্বাধীন বাংলাদেশ হোক।
মনিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের আয়োজনে সেবা সংঘের সভাপতি প্রকৌশলী যুগেশ্বর চ্যাটর্জির সভাপতিত্বে ও সম্পাদক শ্যাম শিং এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা দেন আব্দুস শহীদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আখতারুজ্জামান খাঁন, জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফারুক আহমদ, আ.লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-সচিব মোঃ জাকারিয়া, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মাহবুবুল হক, মোছাদ্দেক আহমদ মানিক, সাংবাদিক বকসি ইকবাল আহমদ, সালেহ এলাহি কুটি, হাসানাত কামাল, আব্দুল ওয়াদুদ প্রমূখ। অন্যান্য বক্তারা বলেন, এ উপজেলাসহ পুরো জেলায় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, গারো, মনিপুরী সহ অনেক জনগোষ্ঠী অতিপ্রাচীন কাল থেকে একসাথে বসবাস করে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে। এ এক সম্প্রীতির বন্ধন। এরকম নজির বাংলাদেশের অন্যকোথাও খুব কমই আছে। এসময় রাসলীলায় জেলা প্রশাসক তার তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা, সাংসদ ৫০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষনা দেন । পরিশেষে এ জেলাকে একটি পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষনা করার দাবী জানান বক্তারা। মন্ত্রীও এই দাবীর কথা শুনে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করবেন বলে সকলকে আশ্বাস দেন।