মুক্তকথা: লন্ডন, শুক্রবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। লন্ডনের কেমডেন শহরে বাড়ীঘরের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। ফলে সাধারণ আয়ের বাসীন্ধাদের স্থানীয় সরকারের বরাদ্ধকৃত বাড়ীঘর পাওয়া ছাড়া অন্য কোন গত্যন্তর নেই। এ অবস্থায়, কেমডেন স্থানীয় সরকারের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক অনেক কম বাড়ীঘর আছে যা মানুষজনদের দেয়া যেতে পারে।
কেমডেন স্থানীয় সরকারের বিগত পঞ্চবার্ষিক (২০১১-২০১৬) বাড়ীঘর নির্মাণ কৌশল থেকে জানা যায় যে, এ পর্যন্ত যারা স্থানীয় সরকারের বাড়ীঘর বরাদ্ধ পাওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছেন তার পরিমাণ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ২০১১ সাল অবদি এর পরিমান ছিল ২২ হাজার। এই ২০১৬ সালে এসে সে পরিমান কত হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
এ অবস্থায় কেমডেন কাউন্সিল তাদের বরাদ্ধকৃত বাড়ীঘর যারা, নিয়ম ভেঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে ভিন্ন পক্ষের কাছে ভাড়া খাটিয়ে আর্থিক ফায়দা নিচ্ছেন, তাদের দিকে নজর দিয়েছে। “কেমডেন” গাইডের এক খবরে দেখা যায় গত এপ্রিল পর্যন্ত কেমডেন কাউন্সিল ৩২টি বাড়ীঘর ফেরৎ নিয়েছে যারা বরাদ্ধ নিয়ে ভাড়া খাটিয়ে আর্থিক মুনাফা করছিলেন। অবশ্য এদের বিরুদ্ধে কেমডেনের স্থানীয় সরকার বা কাউন্সিল আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কি-না তা ‘কেমডেন’ গাইড লিখেনি।
বসতবাড়ীর এই বিশাল ঘাটতি পুশিয়ে নেয়ার জন্য কেমডেনের স্থানীয় সরকার নানামুখি কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, যে সব মালিকের বাড়ীঘর একমাসের বেশী সময় ধরে খালি পড়ে থাকবে সেসব বসতবাড়ীকে পুনঃরায় ব্যবহারে নিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। এ কাজে বেশ অগ্রগতিও হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন মালিকের ২১টি খালি পড়ে থাকা বসতভিটাকে বরাদ্ধ দিয়ে কাজে লাগানো হয়েছে। এতো কিছুর পরও বসতবাড়ীর ঘাটতি থেকে বের হয়ে আসা খুবই দূরুহ হবে।