কমলগঞ্জের আমন চাষী তোয়াবুর রহমান, আনোয়ার খান, শরিফ মিয়া, মো: মুরাদ মিয়া, কাজল মালাকার, সবুর মিয়া ও সুনীল দেবনাথ জানান, নবান্ন আমাদের বাঙ্গালীর প্রাণের একটি উৎসব। এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে ধানের যে দাম রয়েছে সেই দাম অব্যাহত থাকলে কৃষকদের লাভবান হবেন। তবে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কিছুটা শ্রমিক সংকট রয়েছে। করোনার কারণে শ্রমিকরা বাড়তি মজুরী দাবি করছেন। অনেকে করোনার ২য় দফার ভয়ে কাজে যেতে ইচ্ছে প্রকাশ করছেন না। এতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছেন কৃষকরা। তারপরও ফলন ভালো হওয়ায় এবার কৃষকদের নবান্ন উৎসবও ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা।
ধানের আড়তধার সুয়েব আলী বলেন, বাজারে ধানের দাম গত বছরের তোলনায় বাড়তি রয়েছে। বর্তমান বাজারে মোটা ধান ৮০০ টাকা মণ ও চিকন ধান ৮৫০ টাকা মণ হিসাবে ক্রয় করা হচ্ছে। এবছর ধানের দামে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদি।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ^জিৎ রায় জানান, উপজেলায়র সর্বত্রই এখন ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ অ লের চাষিরা আমনের বাম্পার ফলন পাবে। কিয়ার প্রতি ১৩ থেকে ১৫ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারী ছাড়া আর বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বছর ফসল ভালো হয়েছে এবং বাম্পার ফলনও হয়েছে। তাই কৃষকরাও খুশি বলে তিনি দাবী করেন।
|