মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখা ম্যানেজার চামেলি রাণী ও লোন অফিসার প্রণব রায় এর অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় হাওর অধ্যুষিত রাজনগর উপজেলার হাওর এলাকার কৃষক ও ক্ষুদ্র -ক্ষুদ্র গবাদি খামারিরা ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং ঋণ প্রাপ্তিতে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।যাহার ফলে ব্যাহত হচ্ছে সরকারের গ্রামীণ মহতি উদ্যোগ সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। গ্রামীন উন্নয়নের অন্যতম খাত কৃষি উন্নয়ন। কৃষি উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, মহিষ পালন ও পুকুরে মাছ উৎপাদন। তাই এই শিল্পকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেথে সরকারের রয়েছে বহু মুখি উদ্যোগ যেমন, গ্রামের প্রান্তিক কৃষক, শিক্ষিত-অর্ধ শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন ব্যাংকগুলোকে জামানত বিহীন, স্বল্প সুদে ঋন দেয়ার নির্দেশ রয়েছে সরকারের। কিন্তু রাজনগর উপজেলার ক্ষুদ্র–ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এমনকি ক্ষুদ্র খামারের মালিকরা জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখায় ঋণ চাইলে তাদেরকে ঋণ না দিয়ে বিভিন্ন পন্থায় হয়রানি করছেন ম্যানেজার চামেলী রাণী ও লোন অফিসার প্রণব রায়। এমন বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্য দিকে অভিযোগ রয়েছে জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখার ম্যানেজার ও লোন অফিসারের যোগ-সাযোশে তেলা মাতায় তেল দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে উপজেলার হাওর এলাকার ক্ষুদ্র খামারিরা ব্যাংকিং সুবিধা না পাওয়াতে নিরুৎসাহী হয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন।
|
উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের হাওর এলাকার ক্ষুদ্র খামারি খায়রুল আলী বলেন, দুধের ৬টি গাভী ও ৫টি মোটাতাজাকরণ ষাঁড় এবং ৮টি বাছুর সহ ১৯টি গরু নিয়ে আমাদের একটি ক্ষুদ্র খামার আছে। আমি ও আমার ভাই একাধিকবার জনতা ব্যাংকে যোগাযোগ করলেও ঋণ পাইনি।
সামছুল, জিল্লু সহ একাধিক উদ্যেক্তা জানান, জনতা ব্যাংকে ঋণের জন্য একাধিক বার গিয়েছি কিন্তু ঋণ পাইনি। জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখার লোন অফিসার প্রণব রায় বলেন, যে অভিযোগ করেছে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক রাজনগর শাখা ব্যাবস্থাপক চামেলী রাণী দেব এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, রাজনগর শাখায় অনেক ঋণ খেলাফি গ্রাহক রয়েছেন। যে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ করেছে, ওকে আমার কাছে ধরে নিয়ে আসেন।
|