সাদপন্থি তাবলিগীদের বিশ্ব ইজতেমা হতে যাচ্ছে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি। তবে এ ৩ দিন টঙ্গীতে ইজতেমা করতে হলে সাদপন্থিদের জন্য শর্ত দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ শর্ত মেনে ইজতেমা করতে হলে এবারই হবে টঙ্গি ময়দানে সাদপন্থিদের শেষ ইজতেমা।
এ বিষয়ে মাওলানা সাদের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর ময়দানেই হবে। তবে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা মানা হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের মুরুব্বিগন।
স্বাভাবিক কারণেই যে কোন মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কে এই মাওলানা সাদ? দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়া থেকে বুঝা যায় যে অভ্যন্তরীণ কিছু দ্বন্দ্বের কারণে সংগঠনটি দুটি দলে বিভক্ত হয়ে আছে। মূল দ্বন্দ্ব যাকে নিয়ে তিনি হলেন মাওলানা সাদ। পুরো নাম সাদ কান্ধলভী। তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াছ (রহ.)-এর ছেলে মাওলানা হারুন (রাহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী।
এর আগে মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব আবু সাঈদের স্বাক্ষরযুক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ি নেজামের অনুসারীরা(মাওলানা জুবায়ের) ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৫ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা শেষ করবেন। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন তারা। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, মাওলানা সাদের অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি করার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের বাদে তারা ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান শুরায়ি নেজামের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ(জিএমপি) কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, শনিবার তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ সাদের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।