আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার।। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মালিক মিয়া, সুবহান মিয়া, জিলু, লিয়াকত, রিপন, সিদ্দিক, আপ্তাব, আশু মিয়া, সেকুল মিয়াসহ অনেক পরিবারের দুর্দশা এখন কেটে গেছে। ‘হামিদা রহিম স্মৃতি পরিষদ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের জীবনের কালো অধ্যায়ের ইতি টেনে দিয়েছে। এলাকার গরীব- অসহায়দের অনেকের জমি আছে কিন্তু ঘর নেই। আবার কারও ঘর থাকলেও দেখতে একেবারে নাজেহাল। ঝড়-বৃষ্টিতে এসব ঘরের পুরোনো ভাঙ্গা টিনের ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এলাকার গৃহহীন সমস্যায় এক অনবদ্য ভূমিকা রাখলো। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার এমন ১৫টি পরিবারকে ঘর বানিয়ে দিলো হামিদা রহিম স্মৃতি পরিষদ।
হামিদা রহিম স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান বাংলাদেশী রেমিট্যান্সের অগ্রদূত যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী এম. এ. মুকিত-এর অধীনে সম্প্রতি গরীব ও অসহায় পরিবারদের এই বাড়িগুলো নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। নিচে পাকা ওপরে টিনের চালা দেওয়া এ বাড়িগুলোয় বারান্দাসহ একটি ঘর। অনেকজনকে জমিও কিনে দেওয়া হয়েছে।
হামিদা রহিম স্মৃতি পরিষদের দেওয়া বাড়ি পেয়ে তারা দারুণ খুশি। এতোদিনে তাদের দূর্দিনের হাওয়া বদল হলো। এখন আর তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য চিন্তা করতে হবে না। তারা প্রাণ ভরে এমন মানুষের জন্য দোয়া করছেন।
হামিদা রহিম স্মৃতি পরিষদের পৃষ্ঠপোষক এম. এ. মুকিত জানান, মানবিক দায়বোধ থেকেই তিনি এ কাজ করেছেন এবং এ নমুনার সেবাধর্মী কাজ স্মৃতিপরিষদ চালু রাখবে। এম. এ. মুকিত আরো বলেন, যখন দেখি একটা পরিবার ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভাঙা ঘরে থাকে তখন খুব কষ্ট লাগে। তাই নিজ চেষ্টায় কাজটি করেছি। ওদের জন্য কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে। হামিদা রহিম স্মৃতি পরিষদের তরফ থেকে এরকম সহযোগিতা অতীতেও করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগৎসী গ্রামের নিজ বাড়িতে এম. এ. মুকিত তার মা ও বাবার নামে “হামিদা রহিম স্মৃতি পরিষদ” গঠন করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে গরীব এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান এম এ মুকিত। নবগঠিত এ সেবা পরিষদের পরিচালক রেমিট্যান্সের অগ্রদূত যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম. এ. মুকিত-এর সাথে রয়েছেন এম. এ. মিল্লাদ ও এম. এ. মুবিন। সংগঠনের সেবাধর্মী এ কাজ চলমান থাকবে বলে তারা আশ্বাস দেন।