সম্প্রতি বিশ্ব শিক্ষক দিবসে কয়েকটি গণমাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার ফজলু মিয়া নামের এক শিক্ষককে নিয়ে ”দুই টাকার শিক্ষক” শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদটি পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান’র পিপিএম (বার) নজরে আসলে তিনি সেই শিক্ষক সম্পর্কে স্থানীয় ওসি এবং সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেন।
খোঁজখবর নিয়ে তিনি মানবিক শিক্ষক ফজলু মিয়ার পাশে দাড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করেন। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পুলিশ সুপারের আমন্ত্রণে সেই শিক্ষক পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসেন। তখন পুলিশ সুপার শিক্ষক ফজলু মিয়ার সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে তুলে দেন।
এসময় পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, “শিক্ষক ফজলু মিয়া সম্পর্কে পত্রিকায় পড়ে আমরা তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছি। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানদের মাত্র দুই টাকার বিনিময়ে পড়াতেন তিনি। যার ফলে এলাকার সবার কাছে তিনি দুই টাকার শিক্ষক হিসেবে পরিচিত পান। তবে বর্তমানে অভাবের কারণে তার মানবেতর জীবনযাপনের কথা জানতে পেরে আমার মনে হয়েছে তার মত মানবিক একজন শিক্ষকের পাশে দাড়ানো উচিত। ”
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায়, সাংবাদিক সালেহ আহমেদ কুটি ও হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া ১২৩টি মামলার আলামত ধ্বংস করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(১২ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জজ কোর্ট চত্বরে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে বিভিন্ন মামলার জব্দ ও উদ্ধারকৃত আলামত ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংসকৃত আলামতের মধ্যে মোট ২৪২৩ পিস ইয়াবা, ৩৭ বোতল বিদেশি মদ, ৭কেজি ৫৪৫ গ্রাম গাঁজা, ১৬ পুরিয়া হেরোইন, ২২৮ লিটার ১০০ মি: লি: দেশীয় চোলাই মদ, মদ তৈরির উপকরণ ওয়াশ- ৯৫ লিটার ৩০০ মি: লি: এবং ছোট বড় ৫টি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া আদালতের আদেশে প্রকৃত মালিকের কাছে ৩টি মোবাইল ফোন হস্তান্তর করা হয়।
পাশাপাশি নগদ ৩৬ হাজার ৫শ ২৩ টাকা সরকারি কোষাগারে জমাপ্রদান করা হয়৷
এসময় মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট (মালখানা বিভাগ) জগলুল হক, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইউনুস মিয়া, কোর্ট মালখানা অফিসার সিএসআই কৃষ্ণ কমল ভৌমিকসহ কোর্ট পুলিশের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি প্রতারক চক্র স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারক চক্রটি শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি অবগত হলে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজের অবস্থান তুলে ধরে সবাইকে সতর্ক করে দেন।
জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকায় ০১৭৯৬৮৩৭১৯২ ও ০১৭৯৬৮৩৭২১৭ মোবাইল নাম্বার থেকে ভানুগাছ রোডস্থ ফোম ও পর্দা ব্যবসায়ী মৌসুমী টেডার্স এর জুয়েলের কাছ ৩০ হাজার টাকা, হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মা ট্রেডার্স এর স্বপনের কাছে থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং হোসেন ফার্নিচারের স্বত্বাধিকারী হোসেনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। শ্রীমঙ্গল পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগের পরিচয় দিয়ে প্রতারক চক্র উল্লেখিত ব্যবসায়ীদের কাছে চাদা দাবী করে।
জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ বিষয়টি জানার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শ্রীমঙ্গল বাসীর উদ্দেশ্যে অনুরোধ করে বলেন, এটি একটি প্রতারক চক্র, আমার পরিচয় দিয়ে কেউ টাকা চাইলে আপনারা আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে(০১৭১১-৫৭৪৩৭০) যোগাযোগ করবেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ।