লণ্ডন।। বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী হামলার তীব্র নিন্দা করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটি ও কার্যনির্বাহী পরিষদের ৮৩জন সুশীল সমাজের মানুষ তথা আইনজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক, যন্ত্রকারিগর; অব সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, অবঃ আমলা, শিল্পী, কবি; সাহিত্যিক, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির হয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ৪ঠা মার্চ তারিখ সম্বলিত সেই বিবৃতি প্রেসবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের জন্য পাঠিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা যা বলেছেন তা’হলো- “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের জনপ্রিয় লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেণ্য অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপর জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের কাপুরুষোচিত হামলায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। আমরা এই জঙ্গী হামলার তীব্র নিন্দা করি।”
২০১৩ সালের উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেন যে ওই সনের ফেব্রুয়ারী মাসে হেফাজত ইসলাম প্রধান আহমদ শফী খোলা চিঠি লিখে জাফর ইকবাল সহ মুক্তচিন্তার লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের নাস্তিক, মুরতাদ ঘোষণা করে এবং এ ধরনের হত্যা ও হামলাকে ইসলামের নামে বৈধতা দিয়েছিল যার বিরুদ্ধে সরকারী কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। মাঠ পর্যায়ে খুচরা জঙ্গীদমনে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনী সাফল্য দাবী করলেও এসব জঙ্গীদের মূল রাজনীতি ‘মওদুদিবাদ’, ‘ওহাবিবাদ’ বাংলাদেশে এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে তারা নিশ্চিতভাবে উল্লেখ করেন। জামাত-শিবির চক্রের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবীতে তাদের সুদীর্ঘ ২৬ বছর কালের আন্দোলনের উল্লখ করে বলেন, যতদিন পর্যন্ত ধর্মের নামে জামায়াত-শিবির চক্রের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ না হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোন মানুষই নিরাপদ থাকবে না।
সবশেষে, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার নিবিড় তদন্ত দাবি করে বলেন যে, বিলম্ব না করে এর নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা জাফর ইকবালসহ মুক্তচিন্তার শিল্পী-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করছে তাদেরও অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার ও শাস্তির দাবী করেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীগন হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, অধ্যাপক অজয় রায়, কর্ণেল(অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, সাংবাদিক কামাল লোহানী, অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, স্থপতি রবিউল হুসাইন, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন শিহাবউদ্দীন বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ(অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, সমাজকর্মী নূরজাহান বোস, কবি রুবি রহমান, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, সাংবাদিক চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, সমাজকর্মী খোন্দকার আবুল মালেক শহীদুল্লাহ, ড. ফরিদা মজিদ, সমাজকর্মী আরমা দত্ত, এডভোকেট জিয়াদ আল মালুম, এডভোকেট খন্দকার আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল ই এলাহী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আব্দুস সালাম, সমাজকর্মী আক্কাস হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আব্দুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফুর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, সাংবাদিক ফজলুর রহমান, সঙ্গীত শিল্পী জান্নাত ই ফেরদৌসী লাকী, সাংবাদিক শওকত বাঙ্গালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সমাজকর্মী সরদার জাকির হোসেন খসরু, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, ডাঃ মোহাম্মদ মুরাদ হাসান, শহীদ সন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদ সন্তান শমী কায়সার, শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদ সন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকার কর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী আনসার আহমদ উল্লা, মানবাধিকার কর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সমাজকর্মী মোঃ আমিনুর জামান রিংকু, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল।(প্রেসবিজ্ঞপ্তি)