মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ বাংলাদেশে ধর্মীয় সমাবেশে বক্তৃতা(ওয়াজ) দেয়ার ক্ষেত্রে কোরাণ ও বিশুদ্ধ হাদিসের সূত্র(রেফারেন্স) দিয়ে বক্তৃতা করা বাধ্যতামূলক চেয়ে সরকারকে আইনী বিজ্ঞপ্তি(নোটিশ) পাঠিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের(সুপ্রিম কোর্ট) একজন আইনজীবী। খবর বিবিসি’র।
আদালতে ওই আইনজীবী বলেছেন যে কিছু বক্তা(ওয়াজকারী) ধর্মীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী, উস্কানীমূলক ও কল্পকাহিনীযোগ করে বক্তব্য রেখে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বিবিসি’কে বলেছেন যে, ধর্মীয় সমাবেশে উস্কানীমূলক ও কাল্পনিক বক্তব্য যেনো দেয়া না হয় সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আগেই সতর্ক করে দেয়া আছে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ধর্মকে ব্যবহার কিংবা সাধারণ মানুষকে হুমকি-ধামকি দিয়ে, নিজেদের ইচ্ছেমত বক্তব্য রেখে পত্রিকায় ছাপানো এবং ভিডিও করে ইউটিউবে প্রচার করা রীতিমত ব্যবসার রূপ নিয়েছে। অহেতুক মিথ্যা, ভূয়া তথ্য দিয়ে কাল্পনিক গালপল্প মিশিয়ে বক্তৃতা করে ইউটিউবে দিলে সাধারণ মানুষ প্রচুর পরিমানে দেখে। এতে গোগলসহ বিভিন্ন ব্যবসার বিজ্ঞাপন পাওয়া সুলভ হয়। ফলে এ নমুনার মিথ্যাকথার ফুলঝুড়ি মাখানো বক্তৃতায়(ওয়াজ) ইউটিউব ভরপুর। উচিৎ মত সরকারের পাশাপাশি ইউটিউবকেও এ দায়ীত্ব নেয়া জরুরী। ইউটিউভে পাঠানো এসকল ভিডিও’এর কোনটি কোনটি সঠিক তা তাদেরও যাচাই-বাছাই করে দেখে নেয়া উচিৎ বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন।
|