বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নতুনভাবে সংযোগ স্থাপনে বাড়তি অর্থ দাবি করে হয়রানির অভিযোগে ভুক্তভোগী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনস্থ শহীদনগর অভিযোগ কেন্দ্রের কতিপয় কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে এই বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১৬ মে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩ নম্বর আমল আদালতে মামলা দায়ের করেন কাইয়ুম মিয়া।
আদালতে মামলা সূত্রে ও বাদির অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার পতনউষারের টিলাগড় গ্রামের জাফর মিয়াসহ কয়েক ব্যক্তিদের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শহীদ নগর শাখার অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে। এর জের ধরে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পুণ:সংযোগে তারা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের ব্যবহার করছে। এভাবে যোগজায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাফর মিয়াসহ প্রতিপক্ষের যোগসাজসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রের লোকজন পতনঊষারের টিলাগড় গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন পুন:সংযোগসহ বিষয়টি সমাধানে কাইয়ুম মিয়ার কাছে অর্থ দাবি করেন। ভুক্তভোগী কাইয়ুম মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়েও কোন সমাধা পাইনি। তাদের চাহিত টাকা দিতে না পেরে হয়রানির পর বাধ্য হয়ে আদালতের সরনাপন্ন হয়েছি।
অভিযোগ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জাফর মিয়া বলেন, আমি পল্লী বিদ্যুতের কেউ নই। আমি কিভাবে টাকা দিয়ে সংযোগ স্থাপন করাবো। এটি কোন মতেই যুক্তিযুক্ত নয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শহীদ নগর শাখার ইনচার্জ শাহজাহান আলী সরকার বলেন, ঘটনাটি আমি আসার আগের। তবে পূর্বে কিছু লোক এধরণের ঘটনার জন্ম দিয়েছে শুনেছি। আমি তৃতীয় কোন পক্ষকে সে সুযোগ দেই না।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মীর গোলাম ফারক বলেন, কাইয়ুম মিয়ার বাড়ির ছাদের উপর পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। আমার লোকজন গিয়ে দেখতে পায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে। এজন্য তাকে জরিমানাসহ বিদ্যুৎ বিল প্রদানের জন্য বিল দেয়া হয়। পরে লিগ্যাল নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। এখানে তৃতীয় কেউ বাড়তি টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই।