শোকসভায় উপস্থিত সম্মানীত আলোচকবৃন্দ তুফান বিশ্বাস মহাশয়ের দীর্ঘ কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন। আলোচকগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন লুকাশ হালদার, অমর বৈরাগী, রবীন বাড়ৈ, লুক সুবোধ বাড়ৈ, রেনু হীরা, পারুল মিস্ত্রী ও অধীর কুমার সাহা প্রমূখ। তারা বলেন, তুফান বিশ্বাস সর্বদা কম কথা বলতেন কিন্তু কাজ করতেন বেশী। পরিশ্রম ও সততা ছিল তার জীবনের দুটি গৌরবময় মুকুট। তিনি অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন না বটে কিন্তু ছিলেন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। সমাজ, ধর্ম ও রাজনীতি সহ সর্বক্ষেত্রে তার ছিল সমান পদচারণা। তিনি ছিলেন একজন পরিছন্ন মানুষ। গত বৎসর করনাকালীন সময়ে তিনি সাধ্যমত তার প্রতিবেশীদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছিলেন।
তুফান বিশ্বাসের ৩য় সন্তান নিকোলাস বিশ্বাস বলেন, গত কয়েকদিনে আমার পিতার মৃত্যুতে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ শোকবার্তা জানিয়েছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও জলিরপাড় খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন সহ এলাকার বিভিন্ন খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর পক্ষ থেকে শোকবার্তা জানানো হয়েছে। আমি সবার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
ইতিপূর্বে ৩১মে ২০২১ রোজ সোমবার তুফান বিশ্বাস মহাশয়কে ধর্মীয়মতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রভুর চরণে উৎসর্গ করা হয়েছিল। উৎসর্গ সভায় ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজন সহ এলাকার প্রায় ছয় শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেছিলেন স্থানীয় ক্যাথলিক মিশনের পাল-পুরোহিত ফাদার জার্মেইন সঞ্চয় গমেজ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাদার বাবু রিচার্ড হালদার এবং ব্রাদার সুবাস। উল্লেখ্য যে, উৎসর্গের মাত্র তিনদিনের মধ্যে তুফান বিশ্বাস প্রভুর রাজ্যে প্রবেশ করার জন্য তার অন্তিম যাত্রা শুরু করেন।।
|