গত ১৫ই এপ্রিল বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল- যুক্তরাজ্যের তৃতীয় সম্মেলন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শোক প্রস্তাব, বিগত কমিটির কার্যক্রমের সংগঠনিক রিপোর্ট, যুক্তরাজ্যের বসবাসরত বাংলাদেশী অভিবাসী সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের অভিবাসীদের বৈধতার সমস্যা, বর্ণবাদের সমস্যা, কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এবং ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে সক্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশী এবং অন্যান্য দেশের শ্রমজীবি মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ‘বাংলাদেশী ওয়ার্কার্স কাউন্সিল, যুক্তরাজ্য’ গঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রগতিশীল শ্রমিক আন্দোলন ও বিশ্বশ্রমিক আন্দোলনকে সক্রিয় সমর্থন করাও এ সংগঠনের অন্যতম লক্ষ্য।
সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে হারুনুর রশিদকে সভাপতি, শাহরিয়ার বিন আলীকে সাধারণ সম্পাদক, হুমায়ুন খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচিত হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি জাহানারা রহমান জলি, ওয়ালি রহমান, মোস্তফা ফারুক, আখতার সোবহান খান মাসরুর, সেলিনা শফি, সহ-সাধারণ সম্পাদক, মুশফিকুর নূর, অসীমা দে, অর্থ সম্পাদক, মাহমুদ রিয়াদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জয়দীপ রায়; সাংস্কৃতিক সম্পাদক, রবিউল হক লেনিন, দপ্তর সম্পাদকঃ হামিদা ইদ্রিস, কার্যনির্বাহী সদস্য, রফিকুল হাসান খান জিন্নাহ, আবেদ আলী আবিদ, নিসার আহমেদ, আমিনুর রহমান খান, শামসুল আলম খান শাহিন, স্বরূপ চৌধুরী শিবু, আমজাদ খান, মনজুর রহমান নওশাদ ও সাইফুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীনতম বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইউকে গত ১৩এপ্রিল রবিবার পূর্ব লন্ডনের ব্র্যাডি আর্টস সেন্টারে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন করে।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ হরমুজ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেনসংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম এবং তাকে সহযোগিতা করেন মোঃ আলতাফুর রহমান মুজাহিদ, মোঃ আনসারুল হক এবং মোহাম্মদমাসহুদ আহমদ।
![]() |
স্বাধীনতা দিবসের এ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে বিপুলসংখ্যক কাউন্সিলার, সাবেক মেয়র এবং কমিউনিটিনেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেকএমপি ও মন্ত্রী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হেলাল উদ্দিন আব্বাস, জালাল উদ্দীন, মনসুর আলী, আহবাব হোসেন, খালেছ উদ্দিন আহমেদ,মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, নুরুল হক লালা মিয়া, মুরাদ কোরেশি, ফয়জুর রহমান খান, আনসার আহমেদ উল্লাহ, বিধান গোস্বামী,মতিনুজ্জামান, নজমুল ইসলাম নুরু, শাহনুর খান, সৈয়দ আহমেদ সাদ, আমিনুল হক জিলু, শফিক আহমেদ, আহমেদ ফখর কামাল, এডভোকেটশাহ ফারুক আহমেদ, এডভোকেট এম এ করিম, আবদুল আহাদ চৌধুরী, তারিফ আহমেদ, আমিনা আলী, সৈয়দ নাহাস পাশা, জামাল খান,কাউন্সিলার সাদ চৌধুরী, আব্দুল আজিজ, সারব আলী, আব্দুল হান্নান, সৈয়দ আনাস পাশা, গোলাম কিবরিয়া, নুরুল হক নুর আলী, সুরমানআহমেদ, রবিন পাল, ময়নুল হক, ফারুক আহমেদ, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ এহসানুল হক, কাউন্সিলর তারেকখান, সামিরুন চৌধুরী, শামিম উদ্দিন, সায়েম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী মজনু, বাবুল খান, শামীম আহমেদ, কাওসার চৌধুরী, মাহমুদ আলী,আঙ্গুর আলী, রাশীদ আহমেদ, গোলাম জিলানী সহ আরো অনেকে।
বক্তাগণ ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিগত ৭১ বছর ধরে প্রবাসীদের বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম, দূর্যোগ ও সেবামূলক কাজেযুক্তরাজ্য বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অবদান ও ভূমিকার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এতে কবিতা আবৃত্তি করেন সালাহউদ্দিন শাহীন এবং সংগীত পরিবেশন করেনযুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হিমাংশু গোস্বামী ও গৌরী চৌধুরী।
গত মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, সেন্ট্রাল লন্ডনের হর্স গার্ডস অ্যাভিনিউতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে একটি বিশাল বিক্ষোভঅনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাজ্যের গণহত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ বন্ধের দাবি জানানো হয়। “শাট ইট ডাউন ফর প্যালেস্টাইন” শিরোনামেরএই সমাবেশে ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন গোষ্ঠী একত্রিত হয়েছিল।
![]() |
জয়েন ইয়ুথ ডিমান্ড, পাল পালস, প্রেয়ার্স ফর গাজা, থানেট ফর প্যালেস্টাইন, গ্রিনউইচ ফর প্যালেস্টাইন এবং বেঙ্গলিজ ফর প্যালেস্টাইন সহ বিভিন্ন কর্মী সংগঠনেরজোট দ্বারা আয়োজিত এবং সমন্বিত এই বিক্ষোভের লক্ষ্য ছিল গাজায় চলমান সহিংসতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার জন্য।
বিক্ষোভে বক্তিতা, স্লোগান এবং ব্যানারে যুক্তরাজ্য সরকারের অস্ত্র ব্যবসা এবং সামরিক সহায়তার নিন্দা জানানো হয়, যা বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনে মানবিকসংকটে সরাসরি দায়ী বলে তারা দাবি করেন।
ফিলিস্তিনের জন্য বাঙালিদের একটি বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন রাজন উদ্দিন জালাল, জাভেদআহমেদ, মোঃ শহীদ আলী, শফিক আহমেদ, এ কে এম চুন্নু, আহমেদ ফকোর কামাল, জালাল উদ্দিন, মাওলানা জিল্লু খান, রইস আলী এবং মোঃ খসরু। তাদেরউপস্থিতি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রতি বিস্তৃত সমর্থন ভিত্তি তুলে ধরে।
বিক্ষোভকারীরা সংঘাতে দেশটির জড়িত থাকার অবসান ঘটাতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলির উপর চাপ অব্যাহত রাখারপ্রতিশ্রুতি দেন।