বাংলাদেশ হাই কমিশনের পলিটিক্যাল মিনিষ্টার এ এফ এম জাহিদ—উল ইসলাম লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আশা করবো এই বইটি পড়ে ওয়েলসের বাংলাদেশী জনগণ অনেক কিছুই জানতে পারবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বইটি ইতিহাস হয়ে বেঁচে থাকবে। তিনি আরও বলেন, এবার এ অনুষ্ঠানে আমি চতুর্থবারের মতো কার্ডিফ আসলাম। আজকের এই অনুষ্ঠানটি আমার কাছে একটি ব্যতিক্রমধমীর্ অনুষ্ঠানে বলে মনে করছি, কারণ এটি ওয়েলসের একটি প্রথম বাংলা বইয়ের প্রকাশনা উৎসব।
ওয়েলস বাংলা নিউজের সম্পাদক ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর সহ বক্তারা বইয়ের লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই বইটি আমাদের কমিউনিটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বই। কমিউনিটির প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি আমাদের সবার সংগ্রহে রাখা প্রয়োজন। আগামীতে এই বইয়ের ২য় সংস্করণ ইংরেজি ও ওয়েলস ভাষায় প্রকাশ করার জন্য তিনি লেখকের প্রতি অনুরোধ জানান।
বইটি প্রকাশ করতে যারা বিভিন্ন ধরণের সাহায্য এবং সহযোগিতা করেছেন, লেখক দেওয়ান ফয়ছল তাদের সকলের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এই বইটি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিহাস হিসেবে প্রতিটি ঘরেই সবার সংগ্রহে রাখা উচিৎ বলে লেখক মনে করেন।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখক সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এখানে উল্লেখ্য যে এই বইটিতে রয়েছে, ওয়েলস বাংলাদেশী কমিউনিটির সাধারণ জীবন যাত্রার কাহিনী থেকে শুরু করে ওয়েলসের মূল ধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের অবস্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে এগিয়ে যাওয়ার বিবরণ, ওয়েলসে বাংলাদেশীদের প্রথম আগমন ও বসতি স্থাপন, রূপসী ওয়েলসের মনোরম সৌন্দর্যের বর্ণনা সহ ৫৫টি অধ্যায় এবং ১৭২টি পৃষ্ঠা নিয়ে রচিত বইটির মাধ্যমে ওয়েলস বাংলাদেশী কমিউনিটির জ্ঞান-গৌরবকে আরও উজ্বলতর করে তোলবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
|