মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা নদীতীরের শত বছরের পুরানো কালারবাজারের বাঁশবাজার বাঁচাতে সরকারী সহায়তা চান স্থানীয় ব্যবসায়ীগন। প্রায় শত বছরের পুরানো বাজারটি বাঁশ ও ধান বিক্রিতে পার্শ্ববর্তী কয়েক উপজেলায় কয়েক যুগ ধরে সুনাম কুড়ালেও নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে ইতিপূর্বে ধানের বাজার বিলীন হয়ে গেছে। সে সঙ্গে বাজারের প্রায় ২শতটি দোকান কুশিয়ারায় হারিয়ে গেছে। বাঁশ বেচা-কেনার উপর ভর করে এখন বাজারটি কোনমতে টিকে আছে।
স্থানীয়রা জানান, কুশিয়ারায় লঞ্চ, ট্রলার ও জাহাজযোগে ঢাকা ও ভৈরব থেকে মালামাল সরবরাহ করে ব্যবসা করছিলেন স্থানীয়রা। বাজার ক্রমাগত ভাঙ্গনের কবলে পড়লে ভাটা দেখা দেয় ব্যবসায়। তবে পাইকারী বাঁশ বিক্রি করার কারণে বাজারটি এখনো তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। প্রতি শুক্র ও সোমবার হাট বসে কালারবাজারে। এ হাটকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর ভাটি অঞ্চল থেকে কয়েকশ ক্রেতা-বিক্রেতা বাঁশ কিনতে আসেন। তারা এখান থেকে বাঁশ কিনে খুচরা মূল্যে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাঁশবাজারটি সংস্কারের অভাবে বিলীনের উপক্রম। কয়েক যুগ ধরে এখানে কোনো মাটি ভরাট না করায় একটু বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় বাজার। বাঁশবাজার তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী অহির উদ্দীন বলেন, বাঁশবাজার সংস্কার হলে ব্যবসা আরও বাড়বে। ব্যবসা বাড়লে সরকারেরও আয়-খাজনা বাড়বে। স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বাঁশবাজার। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা এসে দূর্ভোগে পড়েন। ব্যবসা হয় ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু মাটি ভরাট করলে বাজারটি তার হারানো জৌলুসের দিন ফিরে পাবে আবার। আবার জমবে মেলা, বসবে হাট আসবে মানুষ জমজমাট, আগের মতই।