1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সুস্থতা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারলেন না, চলে গেলেন নান্টু ভট্টাচার্য্য - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

সুস্থতা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারলেন না, চলে গেলেন নান্টু ভট্টাচার্য্য

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৮৩ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।।  মৌলভীবাজার জেলার বিশিষ্ট রাজনীতিক স্বাধীনতাউত্তর সময়ের ছাত্রলীগ নেতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুধেন্দু ভট্টাচার্য (নান্টুদা বলেই সকল মহলে সুপরিচিত) আজ বৃহস্পতিবার, ১২ নবেম্বর ২০২০ বেলা ১২’৩০মিনিটে সিলেট রাগিব রাবেয়া হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

প্রয়াত নান্টু ভট্টাচার্য্য। ছবি: মুক্তকথা

রাজনগর উপজেলার ভুমিউড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মন পরিবারের সন্তান সুধেন্দু ভট্টাচার্য্য ১৯৭০-৭১সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মৌলভীবাজার মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময়ের ছাত্রলীগের তিনি ছিলেন মধ্যবামের নিবেদিত সুশীল কর্মীবাহিনীর নেতা। বিপ্লবে বিশ্বাসী নান্টু ভ্ট্টাচার্য্য পরিবার সংসারের বৃহৎ স্বার্থে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজনীতি থেকে এক পা পেছনে সরে এসে সরকারের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে চাকুরীতে যোগ দেন। দীর্ঘকাল চাকুরীর পর চাকুরী ছেড়ে দিয়ে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত। সংসার সমাজের শত প্রতিকূলতার মাঝেও ছাত্রজীবনের গোটা একদশকব্যাপী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির চর্চায় যে মার্গে পৌঁছেন তা থেকে এক পা-ও পিছু হটেননি। আমৃত্যু ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধ্বজাকে অন্তরে ধারণ করে গেছেন।
জীবনের শেষ লগ্নে ১ ছেলে ১ মেয়ে ও স্ত্রী সহ অনেক ভাই-বন্ধু রেখে গেছেন। তিনি বছর তিন ধরে মরণব্যাধি কর্কটে ভুগছিলেন। দু’দুবার ভারতে গিয়ে চিকিৎসা শেষে মোটামুটি সুস্থ হয়ে এসেছিলেন। এবারও তার ভারতে রক্ত পরিবর্তনের জন্য যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারী করোণা’র কারণে যেতে পারেননি। গিয়েছিলেন সিলেটে তার প্রাথমিক চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু বিধি তার শেষ যাত্রার দিন ঠিক করে দিলেন।
আমরা “মুক্তকথা” পরিবার তার মৃত্যুতে গভীর শোকাহত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি আমাদের অকৃত্তিম ভালবাসা ও  সমবেদনা। নান্টু ভট্টাচার্য্যের শেষ যাত্রায় শুধু এটুকুই বলবো, সহযোদ্ধা হে যাত্রী, তোমার অন্তিম যাত্রা পুষ্পিত হোক। বিদায়ের শেষ লগ্নে তোমার এ যাত্রায় একগুচ্ছ গাঢ় লাল গোলাপ দিয়ে হৈমন্তীর এ স্নিগ্ধ লগ্নে শেষ বিদায় জানাচ্ছি। মহান স্রষ্টা তোমায় অপার অনন্তে শান্তির সর্বোচ্চ স্তরে রাখবেন এ প্রার্থনাই করি।

বাঁ থেকে প্রয়াত শুধেন্দু ভট্টাচার্য্য, পাশে বসা রাজনৈতিক সাথী একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মৌলভীবাজার মহকুমা ছাত্র লীগের সভাপতি দেওয়ান আব্দুল ওহাব চৌধুরী বাঁ থেকে দ্বিতীয়, এ সময়েই সুধেন্দু মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাঁ থেকে তৃতীয় পরবর্তী সময়ে মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সে সময়ের সুপরিচিত কণ্ঠ শিল্পী আ খ ম সুজাউল করিম ও সর্বডানে একই সময়ের মহকুমা ছাত্রলীগের বিপ্লবী ছাত্রনেতা পরিতোষ চক্রবর্তী স্বপন। ছবি ভেতরে শুধেন্দু ভট্টাচার্য্য। ছবিটি আমাদের অনুরোধে পাঠিয়েছেন সুজাউল করিম। ২০২০এর ফেব্রুয়ারী মাসে নান্টুদের গীর্জাপাড়ার বাসায় এ ছবিটি তোলা হয়।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT