মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজারে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২জন নিহত ও অন্ততঃ ৫০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ১৪জুলাই সকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের পম্মদপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই দলের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পম্মদপুর গ্রামের লেবাস মিয়া ও এলাইছ মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বড় হাওর এলাকায় কয়েক বিঘা সরকারি বিলের জমি দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উভয় পক্ষের সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ জন ঘটনাস্থলে নিহত ও আরো অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন পম্মদপুরের লেবাস মিয়ার পক্ষের মোবারক আলীর ছেলে শফিকুর রহমান(২২) ও এলাইছ মিয়ার পক্ষের ওয়ারিশ মিয়ার ছেলে আব্দুল মালিক(৫৫)। আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই খাস ভুমির দখলদারিত্ব নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৫-২০ বছর থেকে বিরোধ চলছে। এনিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক সালিশ বৈঠকেও এর কোন সুরাহা হয়নি। গত ২-৩ দিন থেকে পুরনো এ দ্বন্ধ আবারো মাথাছাড়া দিয়ে উঠে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে কয়েকজন আহত হন ও কয়েকটি বাড়িও ভাংচুর হয়। পরে স্থানীয়রা উভয়পক্ষকে শান্ত করেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে আবারো উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ মারমুখি অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা সংঘর্ষ চলারপর পুলিশ ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরিস্থিতি যাতে আবারো ভয়াবহরূপ ধারণ করতে না পারে এজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই রক্তক্ষয়ী ঘটনায় দুই গ্রুপের দুজন মারা গেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০জনকে আটক করেছে। তবে শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় মামলা করেনি বলে জানান ওসি।