মৌলভীবাজার প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারে অতিরিক্ত পোকায় আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা। বীজতলা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও মিলছেনা সমাধান। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাওর তীরবর্তী কৃষকরা জমি চাষাবাদে পিছিয়ে পড়েছেন। সময় মতো চারা রোপন করতে না পারায় এই মৌসুম নিয়ে শংস্কায় রয়েছেন তারা।
এদিকে জমিতে দেরিতে বীজ রোপন করায় ধান পাকবেও দেরিতে। তাই ধান ঘরে তোলা নিয়েও দুশ্চিন্তায় শত শত কৃষক। তবে কৃষকদের আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক সময়ে ঔষধ ও সেচ প্রদানের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর মৌলভীবাজারে ৫৪ হাজার ৩শ ৩৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে। এর জন্য বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭’শ হেক্টর। এর মধ্যে তৈরি করা হয়েছে ৩ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার হাকালুকি হাওর ও কাউয়াদীঘি হাওর সহ বিভিন্ন হাওরে এলাকা কৃষকরা বোরো আবাদ করার জন্য তৈরি করেছেন বীজতলা। কিন্তু বীজতলাতে চারা গজানোর পর বাঁধামি গাছ পরিং পোঁকায় আক্রান্ত হয়ে সাদা ও লালচে রং ধারণ করেছে।
রাজনগর উপজেলার সুনাটিকি গ্রামের কৃষক দারা মিয়া বলেন, ৫ একর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষে তৈরি করেছেন বীজতলা। কিন্তু চারা গজানোর পরপরই সাদা ও লালচে হয়ে আক্রমন করেছে বিভিন্ন জাতের পোঁকা। কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছেনা সমাধান। একই গ্রামের অপর কয়েকজন কৃষক বলেন, বীজতলা পোঁকায় আক্রান্ত হওয়ার পর স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি মাঠে আসেন নি।
|