মুক্তকথা: মৌলভীবাজার অফিস।। সবদোষ ওই ইন্টারনেটের! রোজগারের অনেক পথ খোলা থাকতে কেনো ডাক্তারী করতে গেলেন একমাত্র তিনি নিজেই বলতে পারেন। এটি তার সম্পূর্ণ নিজের লেখাপড়া ও বিবেচনার বিষয়। বলছিলাম একজন ডাঃ মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের কথা। ডাঃ শাখাওয়াত জুড়ি উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারে ফুলতলা রোডের একটি কামরায় বসে ডাক্তারী করেন। যশোখ্যাতি তেমন না থাকলেও দিন চলে যাচ্ছিল ভালই। কিন্তু মানুষ বলে বিধি বাম হয়ে বসলে কোন কেরামতিই কাজে লাগেনা। জারিজুরি সব ফাঁস হয়ে যায়।
গত ১২ই এপ্রিলের ঘটনা। বড় ধামাই গ্রামের নোমান আহমদ ঔষধের জন্য কামিনীগঞ্জ বাজারে ডাঃ শাখাওয়াতের কাছে যান। ডাক্তার ঔষধও দেন। কিন্তু ৫দিন চলে গেলো রোগীর ব্যারামতো কমে না। রোগী এলাকারই পরিচিত মানুষ। বন্ধু-বান্ধবদের কথায় কথায় ডাক্তার শাখাওয়াতের ঔষধ সেবন ও নিরাময় না হওয়ার বিষয়টি খুলে বলেন। এনিয়ে খুবই শারিরীক অসুস্থতায় ভুগছেনও জানান।
ঘটনা শুনে বন্ধু-বান্ধবতো থ বনে গেলো। ওরা বললো তুমি জানোনে উনিতো কোন এমবিবিএস নন। নোমান বলেন- আমি নিজে ওনার প্যাড দেখেছি। ওখানে লিখা আছে তিনি এমবিবিস পাশ। বন্ধুরা বুঝতে পারে নোমান ঠকায় পড়েছেন। বন্ধুদের কথায় নোমানও হতভম্ব!
ইন্টারনেটে শুরু করেন বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের খবর নেয়া। একসময় পেয়ে যান www.bmdc.org.bd। খুঁজতে থাকেন তালিকাভুক্ত ডাক্তারদের নাম। ডাঃ শাখাওয়াতের প্যাডে লিখা ডাক্তারী রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ৯১৮৫ খুঁজে দেখেন ওখানে নাম লিখা মো. মনসুর রহমান। নোমান বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন। সাথে সাথেই জুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে তার প্রতারিত হওয়ার বয়ান দিয়ে প্রতিকার দাবী করে পত্র দেন। ঘটনা এ পর্যন্তই। নোমান এখন দেখার অপেক্ষায় উপজেলা কি বিহীত করেন!