আব্দুল ওয়াদুদ।। মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীতে মাছ মারার ধুম পড়েছে। প্রতি বছরের আশ্বিন মাসের শেষ কদিন ও কার্তিক মাসে শুরুর দিকে মিঠা পানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরেন নদী পাড়ের নানা পেশার মানুষ। নদীতে কারেন্ট জাল ও আফা জাল দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যায় ও সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত পালা-বেঁধে এসব মৎস শিকার করা হয়। জালে ইলিশ, লাছো, বাছা-কেদার, শরপুটি, কালিয়ারাসহ আরো হরেক রকমের মাছ ধরা পড়ে। এই সময়ে কুশিয়ারা নদী এলাকার মানুষ কম দামে বছরে একবার এসব মাছ কিনে খেতে পারেন। যারা এ মৎস পেশার সাথে জড়িত তারা জন প্রতি এ ৮-১০ দিনে কয়েক হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেন।
আশ্বিন-কার্তিকে নদীর পানি পরিস্কার দেখালেও আকাশের প্রখর রৌদ্র নদীতে পড়লেই নানা জাতের মৎস দল-বেধে ভাটি থেকে উজানে যাবার চেষ্ঠা করে। এ সুযোগেই তারা মৎস শিকারে নামেন এমনটাই জানিয়েছেন নদী পাড়ের জেলেরা।
কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরার ধুম
|
জেলেরা জানিয়েছেন, নদীর জল এখনো ঘুলো(অপরিস্কার) থাকায় মাছ প্রচুর পরিমানে ধরা পড়ছেনা। আরো কদিন গেলে পানি পরিচ্ছন্ন দেখালেই মৎস শিকার আরো কয়েকগুন বেড়ে যাবে। সরেজমিনে রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর ও জাহিদপুর গ্রামে গেলে দেখা যায়, অসংখ্য নৌকা নিয়ে পালা-বেঁধে কারেন্ট জাল পেঁতে জেলেরা মৎস শিকার করছেন। একটি জাল নদীর এপার-ওপাড়ে ফেলে দিয়ে নৌকাতে বসে থাকেন ১-২ জন জেলে। নদীর স্রোতে খানিকটা ভাটিতে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা পর জাল তুলেন তারা। জালে ঝাঁকে ঝাঁকে বাছা-কেদার, লাছো ও ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।
এখানকার স্থানীয় জেলেরা জানান, কুশিয়ারা নদীর রাজনগর উপজেলার মধ্যে শাহাপুর-জাহিদপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পরে। মৌলভীবাজার, রাজনগর উপজেলা সদর ও সিলেটের বালাগঞ্জ থেকে সাধারণ মানুষ এসে সস্তায় বস্তা ভর্তি দেশীয় মৎস খরিদ করে নিয়ে যান। |