লন্ডন: দেশের সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন অতীত। তুরস্কে এবার শান্তি ফেরাতে চান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তৈয়প এর্দোয়ান। তাঁর দাবি, সংবিধান সংস্কার বিষয়ক গণভোটে তিনিই জিতছেন। এর্দোয়ান এবার সংবিধান সংস্কার করতে চান বলেও জানিয়েছেন। যদি সেটা সম্ভব হয়, তাহলে এটাই হবে আধুনিক তুরষ্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংস্কার। তবে এখনও ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হয়নি। এর্দোয়ান যখন নিজেকে জয়ী বলে দাবি করেছেন তখনও পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তাতে ৫১ শতাংশ ভোট এর্দোয়ানেরই ঝুলিতে। সেদেশের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে এর্দোয়ানই জিতবেন। জয়ের সম্ভাবনা দেখেই রাস্তায় উৎসব শুরু করেছেন এর্দোয়ানের সমর্থকরা। তবে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে এখনও আশাবাদী বিরোধীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’–একটি জায়গায় হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। এবং দিয়ারবাকির এলাকায় ভোট কেন্দ্রের কাছ গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। নির্বাচনে জয়ের ফলে এর্দোয়ানের সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা বিলুপ্ত করে দুই বা তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ তৈরি করা হবে। প্রেসিডেন্ট হাতে পাবেন নতুন ক্ষমতা। তিনি মন্ত্রীদের নিয়োগ দেবেন, বাজেট তৈরি করবেন, সিনিয়র বিচারপতিদের অধিকাংশকে নিয়োগও দেবেন তিনিই, এবং ডিক্রি জারি করে কিছু বিষয়ে আইনও করতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট একাই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন। -আজকাল