মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। আমাদের হাতে ছবিটি আজই এসেছে। ছেলেটির নাম মঈন উদ্দীন। সে না-কি চুরি করেছে, আর সে অপরাধে তাকে এভাবে খোলা আকাশের নিচে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এখানে মধুর সাহিত্য রচনায় না গিয়ে সরাসরি কঠিন কিছু কথায় যাওয়া খুবই উত্তম কাজ হবে।
সে চুরি করেছে অপরাধ করেছে। তার বিরুদ্ধে নালিশ হবে। তাকে ধরার জন্য পুলিশ আছে। পুলিশ তাকে ধরবে। পুলিশ তাঁকে ধরবে ভদ্রলোকের মত। তার গায়ে হাত দেয়ার কোন আইন নেই। পুলিশ নালিশ তালিকাভুক্ত করে তাকে আদালতে বিচারের জন্য পাঠাবে। আদালত ঘটনার আদ্যপান্ত বিচার জেরা করে সাব্যস্ত করবে আসলে সে চুরি করেছে কি-না। যদি আদালত সাব্যস্ত করে যে সে চুরি করেছে তা’হলে তাকে সাজা দেবে। সে মোতাবেক সে সাজাভোগ করবে। আদালত চাইলে তাকে সরাসরি সাজা না দিয়ে সংশোধনের সুযোগও দিতে পারে। এটি আদালতের একতিয়ার। এইতো আমাদের সুশীল গণতান্ত্রিক আইনের নিয়ম।
এই যদি আইনের শাসনের কথা হয়ে থাকে তা’হলে এরা কারা(?) এই মানুষটিকে গাছের সাথে বেঁধে আইনের কাজ নিজেদের হাতে তুলে নিলেন। একজন মানুষের মান-সম্ভ্রমের উপর এতোবড় আঘাত! এসব কাজতো পাপের উপরেও বড় পাপ। এতোবড় অন্যায় কাজ করার সাহস এরা কোথা থেকে পায়। কারা এমনতরো কাজের ইন্দন জোগায়।
প্রশ্ন হলো, এমনসব বেআইনী কাজ দেখার লোক কারা? সে তো পুলিশ। পুলিশ কি ওই অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নেবে?? দেখার অপেক্ষায় আমরা রইলাম।