মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। একজন কবির উদ্দীন আহমদ, ‘ শ্লোগান বদলে যাই’ শিরোনামে তার ফেইচবুকে মৌলভীবাজারের পৌরশিশুপার্ক নিয়ে অতি সামান্য কিছু লিখেছেন। আমাদের চলমান সমাজ পরিবেশে অসুন্দর যা কিছু তার চোখে লেগেছে সেগুলির উল্লেখ করে সমাজের আমরা সকলকে দায়ী করে তার মত করে লিখেছেন। তার লেখায় সমাজচিত্র পুরোপুরি উঠে না আসলেও একেবারে যে দেখার কিছু নেই তা’নয়। কবির উদ্দীন সমাজকে তার মত করে দেখেছেন। এটি তার নিজস্ব অধিকার। কারো দেখায় হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার অন্য কারো নেই। একজন লেখক কিংবা সমাজ বিশ্লেষক তার মনের সাজে সবকিছু দেখবেন। কবির উদ্দীনের লিখায় আমাদের কিছু লিখার একটি সূত্র খোঁজে পাই। আর তাই কিছুটা পরিশোধন করে তার চর্চিত কথামালা এখানে তুলে ধরা হলো।
তিনি লিখেছেন- নাইর মাঝেও আমাদের মৌলভীবাজার এ দুটো পার্ক ছিলো। একটা বেরির গা ঘেষে শাহ মোস্তফা রোডে অন্যটি পৌরপার্ক। কালের বিবর্তনে একটি ছাগল বাজার আর অন্যটি চটপটি বাজার। আমরা দুই চক্ষু বিশিষ্ট অন্ধরা এগুলো দেখেও দেখিনা। আমাদের এলাকায় গুন্ডামি, সন্ত্রাসী নেই- এটা আমাদের গৌরব কিন্তু আমার সন্তান এর বেশভূষা, ভয়ংকর মাস্তানকে হার মানায়।
স্কুল-কলেজ এর লেখাপড়ার পরিবেশ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। লেখাপড়া হয়না। টিচাররা বেশিরভাগ সময় ক্লাসে যাননা। যদিও বা যান তারা নাকি মোবাইল নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন। তাও এখন ওপেন সিক্রেট। সন্তানদের এ অভিযোগ শোনেও আমি অভিভাবক নিরব। এ কেমন দায়িত্ববোধ? এ কেমন কুম্ভকর্ণ আমি? অফিস আদালত তাড়িয়ে দিয়ে হোটেল আর ক্যাফেতে বিনিয়োগে কতটুকু লাভবান – তার হিসাব কসতে জানিনা। সামাজিক পরিবেশ গোল্লায় যাক। প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে আমরা কতটুকু সচেতন সেটা তো আমার আচরণই বাতলে দেয়। যাই হোক, সেটার জন্য আমার মাথা ব্যথা নাই। ক্লাসটাইমে চটপটি আর বন্ধু বান্ধবীর সাথে আড্ডায় মত্ত। মুরব্বিরা পাশ দিয়ে লজ্জায় মুখ ঢেকে চলতে হয় তারপরও আমার ছেলে, আমার মেয়ে বেপরোয়া। এ কেমন সচেতন অভিভাবক আমি? আচ্ছা এরকম কি শুধু আমার বেলাতে? আপনার বা আপনাদের বেলাতে এমনটা কি হচ্ছেনা? যদি হয়, তাহলে আসুন এগিয়ে, সময় থাকতে নিজের ঘর ঠিক করি। কবির উদ্দীন কি ঠিকই বলেছেন? না-কি শুধু শুধু লিখার জন্য কথার মালা সাজানো? এক সময় বুঝি ঠিকই লিখেছেন আবার পরমূহুর্তে মনে হয় না প্রয়োজনে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। অবশেষে আমাদের সমাজ বিশ্লেষকগনই বলতে পারেন কবির উদ্দীন ঠিক লিখেছেন কি-না! সূত্র: গণমাধ্যম থেকে