লন্ডন: শতাধিক কর্মচারী কাজ ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে কর্মচারী ছাটাইয়ের প্রতিবাদ জানাতে। গত ২৯ জুন নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাধারণ ও সংবাদ কর্মিরা এই ‘ওয়াক আউট’ এর মধ্য দিয়ে কর্মচারী ছাটাইয়ের প্রতিবাদ জানায়। কর্মবিরতির লক্ষ্যে পরিচালিত এ ওয়াক আউটে তাদের স্লগান ছিল-“ওরা বলবে চাকরি কাটো, আমরা বলবো লড়াই করবো।”
শব্দ বা সংবাদ ব্যবসায় ‘নকল সম্পাদকগন’(কপি এডিটরস) হলেন ব্যবসার ‘নিরাপত্তা কর্মি’ আবার হৃদপিন্ডও বলা যায়। শ্যান দৃষ্টির ‘প্রুফ রিডার্স’রা একটি রচনার বানান ভুল থেকে শুরু করে কাহিনীর মৌলিকত্বের ভুল-ভ্রান্তিও চোখ বুলালেই ধরতে পারেন।
বর্তমান বিশ্বের গুজবি বা জাল সংবাদের ছড়াছড়ির এ সময়ে কপি সম্পাদকদের ভূমিকা অতীতের চেয়ে শতগুন বেড়ে গিয়েছে। দুনিয়া জোড়া সংবাদ ব্যবসা বলতে গেলে বেশ কঠিন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নতুন করে কর্মসংস্থান হচ্ছেনা বললেই চলে। এমনি অবস্থায় ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ তাদের “স্টেন্ড এলোন কপিডেক্স” টিমকে ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এই দলে, কেবল ‘কপি এডিটরস’ এর সংখ্যাই শতে’রও উপরে রয়েছে। এদের, অন্যান্য ৫০টি পদের যে কোনটিতে দরখাস্ত করার কথা বলা হয়। এ নমুনার কর্মি ছাটাই, কর্মিরা মেনে নিতে পারেনি।
অবস্যম্ভাবী এই কর্মিছাটাই একটি বৃহৎ পরিকল্পনারই অংশ বিশেষ মনে করা হয়। টাইমস তাদের ‘নিউজরুম’ পরিচালনাকে কর্মি ছাটাইয়ের মাধ্যমে সম্পাদনার স্তর কমিয়ে সরু করে এনে পূনর্বিন্যাসের একটি প্রয়াস ছিল এই ছাটাই।
‘কপিএডিটরস’দের অবশ্য ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন- আমাদের বাধ্যকরা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস-এ আমাদের কাজের যৌক্তিকতা দেখানোর মত একটি অপমানকর অবস্থাকে মেনে নিতে।
টাইমস অফিসের প্রতিটি তলার অন্যান্য কর্মিরাও টেবিল ছেড়ে প্লেকার্ড হাতে বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের একাত্মতা জানায়। তারা নিচতলায় গিয়ে সমবেত হয় ও পড়ে টাইমস স্কোয়ারের অফিস ভবনের চারিদিক চক্কর দেয়। তারা খুবই ন্যায্য এক লাইনের কয়েকটি কথা দিয়ে একটি পোষ্টার হাতে ভবন চক্কর দেয়। সেই পোষ্টারের ভাষা ছিল চমৎকার। একটি মাত্র অক্ষরের ভুল দেখিয়ে লেখা-“without us, it’s the New Yrok Times”।
মূল: সামান্তা, ওয়াশিংটন পোষ্ট