আব্দুর রহমান শাহীন, জুড়ী।। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় “ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে জুড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিট এর ব্যবস্থাপনায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে এ কর্মশালা।
কর্মশালায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনস্থ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা চলমান নিরাপদ স্বাভাবিক প্রসব সেবাকে আরো জোর দেওয়া হয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো এবং নিরাপদ প্রাতিষ্ঠানিক হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসবকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে করে বাণিজ্যিক হাসপাতালে করা অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশানের হার কমবে বলে মত দেন বক্তারা।
স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততায় আরো বেশি মা যাতে প্রসব সেবাসহ অন্যান্য সেবা সহজে পেতে পারেন সেদিকে গুরুত্বারোপ করা হয়। কর্মশালায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিরাপদ প্রসব নিশ্চিতকরণে একটি বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন এম.সি.এইচ এর উপ-পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ ফাহ্মিদা সুলতানা। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গুলশান আরা মিলি। জুড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন এর উপস্থাপনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় পরিচালক যুগ্ম সচিব মোঃ কুতুব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলার উপ-পরিচালক এ.কে.এম আব্দুস সোবহান ও জিএসবি’এর মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ডাঃ হাদী হোসেন, জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসীম চন্দ্র বনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহী উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্ম্মা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিপুল রায়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সিলেট-মৌলভীবাজার এর ফ্যামিলি প্ল্যানিং ফ্যাসিলিটেটর কেনী লস্কর রূপা প্রমূখ।
উল্লেখ্য, এম.সি.এইচ সার্ভিসেস এর পরিচালক ও এম.সি.আর.এ.এইচ এর লাইন ডাইরেক্টর ডাঃ মোহাম্মদ শরীফ এর তত্ত্বাবধানে ‘মায়ের ব্যাংক প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মায়ের ব্যাংক কার্যক্রম প্রসব সেবায় পরিবারের সকলকে আরো দায়িত্বশীল করতে অনুপ্রাণিত করবে এবং জরুরী প্রসূতীদের আর্থিক সংকট দূর করবে। সকল উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বাভাবিক প্রসব সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে মাতৃ মৃত্যুহার ও নবজাতকের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে যা আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে।