রাজনীতির চাঁদা থেকে গরীব এতিমদের সাহায্য সহায়তায় তিনি ছিলেন অকৃপণহাতের মানুষ। উচ্চ শিক্ষার সনদ না থাকলেও মানুষের কল্যাণী চিন্তায় সব ধরনের সনদকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সমাজের একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষজনের কল্যাণ কামনাই ছিল তার শেষ জীবনের অনেকটা সাধনার মত। নির্মোহ ধর্মীয় ভাবধারায় মানুষের মাঙ্গলিক চিন্তায় জীবন কাটিয়েছেন আমৃত্যু। নিঃসংকোচে কাজ করে গেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। পৈত্রিক পরিচয় ছিল সৈয়দ আবু শাহ্জাহান কিন্তু সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন প্রিয় ‘শাহজাহান মিয়া’ বলে। সুপ্রিয় সেই শাহজাহান ভাই আর নেই। গত বৃহস্পতিবার ৮ই মার্চ তিনি ভবলীলা সাংগ করে পরপারে পারি জমিয়েছেন।(ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)।
প্রয়াত আবু শাহজাহান বংশ মর্যাদার দিক থেকে শহরের সুখ্যাত সৈয়দ বংশের মানুষ ছিলেন। মৌলভীবাজারের ইতিহাসখ্যাত সৈয়দ হিলালুদ্দীনের নামাঙ্কিত শহরলগ্র পশ্চিম প্রান্তের হিলালপুর গ্রামেই ছিল তার বাড়ী। ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি তার বিশ্বাস ও ভক্তি ছিল অপার। তিনি মৌলভীবাজার ইসলামিক মিশনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। শহরের পশ্চিমবাজার বায়তুশ শরীফ জামে মসজিদের একসময় সম্পাদক ছিলেন এবং শাহজালাল(রঃ) ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে গেছেন নিরলস। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের একজন ঘনিষ্ট সমর্থক ছিলেন। তারই সুযোগ্য পুত্র সৈয়দ মোজাম্মেল আলী শরিফ ওই সময়ে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ নেতৃস্থানীয় কর্মী ছিলেন।
সাপ্তাহিক মুক্তকথা সম্পাদক হারুনূর রশীদ তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি ফোনবার্তায় সমবেদনা জানিয়েছেন।