মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বিশ্ব প্রকৃতি খুবই সুনির্দিষ্ট নিয়মে লক্ষকোটি বছর ধরে চলে আসছে। ঠাণ্ডা জায়গায় বরফ জমে আবার গরমের ছোঁয়ায় সে বরফ গলে পানি হয়ে গিয়ে সাগরজলের উচ্চতা বাড়ায়। চাঁদ-সুরুজ সকলেই বিভিন্ন নিয়মে ঘুরছে তো ঘুরছে। কোন দিন বা কালে এ ঘুরার শেষ হবে লক্ষকোটী বছরের পৃথিবীতে আজো কেউ বলতে পারে না। মনে হয়না এতো সহজে প্রকৃতির এসব রহস্য খুলে দেখা যাবে বলে!
সূর্য আকাশে আছে, একটি নির্দিষ্ট পথে পৃথিবীর ঘুরে চলার কারণে খুবই সুনির্দিষ্ট কিছু সময়ে পৃথিবী সূর্য্যকে ঢেকে দেয়। পৃথিবীর যে পৃষ্ঠ সূর্য্যের মুখোমুখী থাকে সে পৃষ্ঠে থাকে দিন আর যে পৃষ্ঠ বিপরীতে থাকে সেথায় কাজ করে অন্ধকার বা মানুষের প্রচলিত ভাষায় রাত। ঘুরাঘুরির পথে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সূর্য ও পৃথিবী একেবারে সামনা-সামনি হয়ে পড়ে। সে অবস্থাকে আমাদের মানব সভ্যতা নাম দিয়েছে সূর্যগ্রহণ।
মানুষের ভাবনার প্রশংসা করতে হয়। মানুষ ধরে নিয়েছে হয় পৃথিবী সূর্য্যকে গ্রহন কিংবা সূর্য্য পৃথিবীকে গ্রহন করে। এই গ্রহন করা কথাটির অনেক তাৎপর্য রয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর ছিল সেরূপই একটি ক্ষণ সূর্য্যগ্রহনের।
মৌলভীবাজার জেলা “বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ” সূর্য্যগ্রহনের এ মহেন্দক্ষণটিকে নিজ চোখে দেখে নেয়ার এক মনোজ্ঞ আয়োজন করেছিল। এ উপলক্ষ্যে “বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ” মৌলভীবাজার জেলা সকাল ৯টা থেকে মৌলভীবাজার সরকারি স্কুল মাঠে সূর্য গ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে। এতে জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা “সান ফিল্টার”এর মাধ্যমে ইতিহাসের বিরল এই বলয়গ্রাস সুর্যগ্রহন পর্যবেক্ষণ করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। ৩ঘন্টার এ অনুষ্ঠান ছিল প্রাণের স্ফুরণে উজ্জ্বল আর মনের উত্তেজনা আনন্দে ভরপুর মধুময়!