আব্দুল ওয়াদুদ।। মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে শনিবার আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান-এর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বাহাউদ্দিন কাজী,পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মুরসালিনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাগণ।
কনফারেন্সে শুরুতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি সংশ্লিষ্ট আদালতের মামলার বিবরণ ও বিভিন্ন থানার মূলতবী পরোয়ানার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন,জেলার বিভিন্ন থানায় তদন্তাধীন থাকা মামলার তদন্ত কার্য দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হবে। যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করত: তাদের নিরাপত্তা বিধান, গ্রেফতারের পর আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করে পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার আহবান জানান।
এছাড়াও তিনি যোগদানের পর থেকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যার ফলে, তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে তাঁর অধীনস্থ বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণ ২০১৮ খ্রিঃ সনের মামলা নিষ্পত্তির (২০১৮ খ্রিঃ সনে নিষ্পত্তি ৯ হাজার ৭শ ১১টি) চেয়ে ২০১৯ খ্রিঃ সনে মামলা নিষ্পত্তির (২০১৯ খ্রিঃ সনে নিষ্পত্তি ১০ হাজার ৫শ ০৯টি) হার ৮% বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষত: পুরাতন মামলা অধিক হারে নিষ্পত্তি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মুহম্মদ আলী আহসান বলেন, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিচার প্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা কাম্য নয়।
কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলামত জব্দের পর আইনানুযায়ী জব্দ তালিকা তৈরি ও থানার মালখানায় থাকা আলামত আইনানুযায়ী নিষ্পত্তির বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সম্মেলনে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, জেল সুপারের প্রতিনিধি, প্রবেশন অফিসার, পরিদর্শক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি রেঞ্জ অফিসার, কোর্ট ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর, সিআইডি, ইন্সপেক্টর, পিবিআই ও জেলার বিভিন্ন থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।