লণ্ডন।। দুনিয়া থেকে আজ একজন মানুষ বিদেয় নিয়েছেন। শুধু মানুষ বললে কিছুটা নাবলা হবে। মানুষের মাঝে এক উজ্জ্বল জোতিষ্কের মত ছিলেন তিনি। মানুষই ছিলেন কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মানুষ। বর্তমানের জটিল ও দূরপরাহত বিজ্ঞান গবেষণার সময়ে তিনি ছিলেন সত্যিকারের এক আলোকবর্তিকা। তার জ্ঞানের গভীরতা আধুনিক মহাকাশ ও জোতির্বিজ্ঞানকে একটি মানানসই কাঠামোয় দাড় করিয়েছিল। দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষসহ লক্ষ লক্ষ জ্ঞানী-গুণী ও বিজ্ঞান গবেষকদের কাছে তিনি ছিলেন মূর্তিমান এক আশার আলো। দুনিয়ার কোটি মানুষকে কাঁদিয়ে আজ তিনি দেহত্যাগ করে চলে গেছেন চির অজানা অচেনা দেশে।
“স্বর্গ-নরক খুঁজে কম্পিউটার ভেঙ্গে ফেলার কিছুই নয়। স্বর্গ বলতে কিছুই নেই, মরণের পরে আর কিছুই নাই; এগুলো অন্ধকার থেকে ভয়ের কাহিনীমাত্র।” -স্টেফেন হকিং
যুগযুগান্তরের মানুষের কাছে পূজনীয় হয়ে থাকবেন যে বিজ্ঞানী স্টেফেন হকিং তার কথাই বলছিলাম। আজ সকালের দিকে তিনি লণ্ডনের কেমব্রিজে দেহত্যাগ করেছেন। মরণকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬বছর। লুসি, রবার্ট ও টিম নামে তার ৩জন সন্তান রয়েছেন। তারাই এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে আজ গণমাধ্যমকে এ সংবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদপত্র গার্ডিয়ান তাকে বলেছে “বিজ্ঞানের স্থিতিস্থাপনার উজ্জ্বলতম তারা”। “সায়েন্স এডিটর” ইয়ান সেম্পল এর নামে ‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকা লিখেছে- “বিজ্ঞানের স্থিতিস্থাপনার উজ্জ্বলতম তারা, তার জ্ঞানগভীরতা আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞানকে একটি নমুনা দিয়েছিল।”