মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। জাতীয় সংসদে গত ৩রা মার্চে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেননের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া মেননের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। একই সঙ্গে এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাশেদ খান মেননকে অনতিবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাঠ্যক্রমকে ধর্মীয়করণের প্রচেষ্টা ও আলেম সমাজকে কটাক্ষ করে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে রাশেদ খান মেননের অনতিবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা ও শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। আজ বুধবার ৬ই মার্চ(২০১৯) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মহাজোটের শরীক নেতা রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘রাশেদ খান মেননকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। রাশেদ খান মেনন মূলত তার প্রদত্ত বক্তব্যের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মবিদ্বেষ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। অনতিবিলম্বে তিনি যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান তাহলে তৌহিদি জনতা এসব কটূক্তি, অপপ্রচার ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে।’
উল্লেখ্য, গত ৩রা মার্চ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় আওয়ামী লীগের জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘পাঠ্যক্রমগুলোকে ধর্মীয়করণের প্রচেষ্টা ও তেঁতুল হুজুরের আবদারে সংস্কার করা হয়েছে। কুসুম কুমারী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। হয়ত পাকিস্তান আমলের মতো ‘সজীব করিব মহাশ্মশানের স্থলে সজীব করিব গোরস্থান’ আবৃত্তি করতে হবে। কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়ে বিষবৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে কি না- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আজকে তেঁতুল হুজুরের দল প্রধানমন্ত্রীকে কওমী জননী উপাধি দিয়েছেন। এই ব্যাপারে আমরা সতর্ক না হলে বুঝতে হবে আমরা কোনো বিষবৃক্ষ রোপন করতে যাচ্ছি।’
আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা, তাদের ওপর আক্রমণ- মোল্লাতন্ত্রের এ ধরনের পাকিস্তানি অনুকরণ রাষ্ট্রপতি যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন- সেটাকে চরম বিপদে ফেলছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বিগত সরকারের এই মন্ত্রী।