মুক্তকথা সংবাদ।। দাওয়াত ও তাবলীগের নামে জেলা ইজতেমা জমায়েত বা সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার দাবী জানিয়েছে মৌলভীবাজার “কওমী মাদ্রাসা উলামা-মাশায়েখ ও তাবলীগ সাথীরা”। মঙ্গলবার মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কওমী মাদ্রাসা ও তাবলীগ সাথীদের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবী জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উলামা পরিষদ এর মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।
লিখিত পাঠে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বিশ্বব্যাপি সমাদ্রিত দাওয়াত ও তাবলীগের মূলনীতি বিচ্যুত কিছু ভাই মাওলানা সাদ সাহেবের ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারের লক্ষে ইজতেমার নামে মৌলভীবাজারে “জেলা ইজতেমা” আয়োজনের পায়তারা করছে। বিষয়টি জানতে পেরে গেল বছর জেলার কওমি মাদরাসা, উলামা মাশায়েখ ও তাবলীগি সাথি জেলা ইজতেমার নামে কোন আয়োজনের অনুমতি না দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার ও পুলিশ সুপার’র নিকট লিখিত আপত্ত্বি তুলেন। এতদসত্বেও কোন ধরনের অনুমতি ব্যাতিরেকে বিভিন্ন স্থানে ইজতেমার নামে “জেলা ইজতিমার” আয়োজনের তারিখ ঘোষনা করে সাধারণ মুছল্লিদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এতে জেলার উলামায়ে কেরামদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গি বিশ্ব ইজতিমা মাঠে সাদ পন্থিরা হামলা চালিয়ে ৪ হাজারেরও বেশি তাবলীগি সাথি ও মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকদের আহত করে। এর থেকেই প্রতিয়মান হয় মাও: সাদের অনুসারীরা মূল তাবলীগ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়ে হিংস্র বাহিনীতে পরিনত হয়েছে। এসব সন্ত্রাসী বাহিনী তাবলীগের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সেহেতু জেলা ইজতিমা বা অন্যকোন নামে মাও: সাদের ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারের সুযোগ দানের কোন অবকাশ নেই। এছাড়াও ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসেও একই ভাবে “জেলা ইজতিমা” নামে সাদ পন্থিরা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। জেলার সকল উলামায়ে কেরাম ও তাবলীগি সাথিদের আপত্তির মুখে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে তা বন্ধ করে দেন।
মাও: সাদের অনুসারীদের জেলা ইজতেমার নামে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদানে জোড় আপত্তি জানানো হয়। সাদ পন্থিদের এধরনের কোন অনুষ্ঠানে অনুমতি দেয়া হলে জেলার উলামায়ে কেরাম আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওলামা পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি শামছুজ্জোহা, কারী শামছুল হক, মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান, মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলী, মাওলানা মুজাহিদ আহমদসহ অনেকে।