নারায়ণগঞ্জে হেফাজত সমর্থকরা হরতালের সমর্থনে রাস্তায় আগুন জ্বালায়।
সর্বশেষ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকার পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। তারা আগামীকাল ২৯ মার্চ সোমবার সারা দেশে দোয়া মফিল এবং পরে ২ এপ্রিল শুক্রবার বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী। তিনি তার ঘোষণায় কয়েকটি দাবীও জানিয়েছেন। দাবীগুলো হলো- আটকদের অবিলম্বে মুক্তি এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যতায় তাদের আমীর বাবু নগরী ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়ে কঠোর কর্মসূচির পথে যাবেন।
হেফাজতের হরতালের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২দিন ধরে কতিপয় উশৃঙ্ক্ষল ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে রয়েছে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারী ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেল ষ্টেশন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বাড়ীঘর, প্রেসক্লাবসহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে। এ জাতীয় ক্ষয়ক্ষতিসহ সকল প্রকার উশৃ্ঙ্ক্ষল আচরণ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। অন্যথায় জনগনের জানমাল ও সম্পদ রক্ষার্থে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকার আরও বলেছেন, স্বার্থান্বেষী মহল এতিম ছাত্র ও শিশুদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামিয়ে সরকারী সম্পত্তিসহ জনগণের সম্পদ ও ঘরবাড়ীতে অগ্নিসংযোগসহ নানা অপকর্মে নিয়োজিত করায় প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসবের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন হেফাজতে ইসলামের মাধ্যমে দেশের ধর্মান্ধ মৌলবাদী গুষ্ঠী হরতাল ডেকে তাদের জনসমর্থনের বিষয়টি পরখ করে নিলো। সূত্র: ইত্তেফাক ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম
|