চা বাগানের শ্রমিকদের নিকট থেকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কিস্তি উত্তলন বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটি।দেশের ১৬৭ টি চা বাগানের শ্রমিকরা একযোগে গত ১৭ দিন ধরে চা শ্রমিকদের নূন্যতম দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের সকল শ্রেণী-পেশার লোকজন চা-শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু মালিকদের অতি মুনাফা চরিত্র এবং সরকারের মালিক স্বার্থ রক্ষায় চা জনগোষ্ঠীর এই একদফা ৩০০টাকা মজুরি এখনো মেনে নেয়া হয়নি। তার ওপর রয়েছে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ঋণ পরিশোধ করার চাপ। চা বাগানের শ্রমিকদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে চা শ্রমিকদের নিকট থেকে কিস্তি উত্তলন বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটি। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী এবং সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, চা-জনগোষ্ঠী তাদের যৌক্তিক দাবিতে একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ১৭ দিন হয়ে গেলেও এখনও সেই ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মালিক এবং সরকার কোন পক্ষই মেনে না নিয়ে বরং সরকারের পক্ষ থেকে বারবার চা শ্রমিকদের সাথে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টালবাহানা চলছে। সংগ্রামী চা শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অটল বদ্ধপরিকর। শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে তাদের মজুরি এবং রেশন বন্ধ হয়ে আছে। এই রকম পরিস্থিতিতে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে মানবিক বিবেচনায় কিস্তি উত্তলন করা থেকে বিরত থাকা এবং কোন প্রকার চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানাচ্ছি। সূত্র: সবুজ গৌড়, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি/২৫আগস্ট ২০২২ |