মামুন রশীদ মহসিন ও আব্দুল ওয়াদুদ।। সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন ভাতা প্রদানসহ পেনশন প্রথা চালু ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে মৌলভীবাজার পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব ভবন সম্মুখে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় মৌলভীবাজার পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় সভাপতি সৈয়দ নকিবুর রহমান, এসোসিয়েশনের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য এ কে এম নুরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক রনধীর রায়, বড়লেখা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত কর, কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান, জেলা কমিটির সভাপতি কল্যাণী সরকার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, “এক দেশে দুই নীতি চলতে পারেনা। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী এখনো মানা হচ্ছে না। তাই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচীর ডাক দিতে বাধ্য হবো আমরা।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন বিগত ২০১৮ ইং হতে ব্যাপক ভাবে এই আন্দোলন কর্মসূচী শুরু করেছিল সারা দেশে। সারা দেশে সর্বমোট ৩২,৫০০ কর্মকর্তা, কর্মচারী, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সচিব, এরা সকলেই সরকারী পেনশন ভাতা থেকে বঞ্চিত। এ বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সরকারী বেতন ও অবসর ভাতা(পেনশন) চালু প্রসঙ্গে তাদের পরামর্শ- বেতন খাতে একটি তহবিল গঠণ যেখানে ৫℅ ভূমি উন্নয়ন করের আদলে বিদ্যুৎ, গ্যাস থেকে আদায়কৃত অর্থের ৫℅ টাকা উক্ত তহবিলে জমা প্রদান করা যেতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পৌরসভার হাটবাজার, জলমহাল থেকে আদায়কৃত অর্থের ৫৬℅ অর্থ উক্ত বেতন তহবিলে জমা করে বেতনের সংকুলান করা যেতে পারে বলে তারা দৃঢ়ভাবে মনে করেন।
অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে সব নাগরিক সেবা থেকে বিরত থেকেছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ধর্মঘটকারী নেতৃবৃন্দ জানান, দাবী আদায় না হলে আগামী ১৪ই জুলাই থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান কর্মসূচী দেয়া হবে। এতে কাজ না হলে প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকা প্রেসক্লাবে লাগাতার অনশন কর্মসূচীতে যাবে তারা।