মুক্তকথা সংগ্রহ।। মানুষের কাছে হাত পাতেন তিনি। পাই পাই করে জমিয়েছিলেন ১০ হাজার টাকা। নিজের বসতঘর মেরামতের জন্য। তিনি নজিম উদ্দিন। শেরপুরের ঝিনাইগাতির কাংশা ইউনিয়নের গান্ধীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু করোনার এই সংকটকালে ভিক্ষাবৃত্তি করে পাওয়া সেই টাকা আজ সেখানকার ইউএনও’র হাতে তুলে দিয়েছেন।
বলেছেন, ‘আমি ভিক্ষা করে খাইয়ে-খুইচরে দুই বছরে এ টেহা জড়ো করছি। আমার ঘরডা ভাঙ্গে গেছে গ্যা। এহন আর ঘর-দরজা দিলাম না। দশে এহন(মানুষ) কষ্ট করতাছে, আমি এ টেহ্যা ইউএনও সাহেবের হাতে দিলাম। দশেরে দিয়ে দেখ, খাইয়ে বাঁচুক।’
রবিবার ইউএনও রুবেল মামুদের নির্দেশে স্থানীয় ‘দি প্যাসিফিক’ ক্লাবের সদস্যরা দরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে গান্ধীগাঁও গ্রামে যান। এ সময় নজিমুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে ইউএনর’র পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার কথা বলে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরে নজিম ওই তালিকায় তার নাম না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, বসত ঘর মেরামত করার জন্য দুই বছরে ভিক্ষা করে জমিয়েছেন ১০ হাজার টাকা। আজ সেই টাকা তুলে দিয়েছেন ইউএনও’র হাতে। সূত্র: মুহিউদ্দীন চৌধুরীর ফেইচবুক থেকে